ad720-90

প্রবাসী ভাইয়েরা ভুলেও কখনো মাথার পাশে মোবাইল রেখে ঘুমাবেন না 


বর্তমানে আমরা মোবাইল ও ইন্টারনেটে এতোটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, চাইলেই এর ব্যবহার থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। যেহেতু মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে ক্ষতিকর। তাই প্রয়োজন মোবাইল ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা। আসুন, আমরা সে বিষয়ে আলোকপাত করি।

এক. দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোনে কথা বলবেন না। এক নাগাড়ে পনের মিনিটের বেশি কথা বলা কোনভাবেই উচিৎ নয়।

দুই. দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে স্পিকারে বা হেডফোনে কথা বলুন। আপনার সেটটি শরীর থেকে দুই-তিন ইঞ্চি দূরে রেখে কথা বলুন। বাসায় বা অফিসে যদি ল্যান্ডফোন থাকে তাহলে ল্যান্ডলাইনে কথা বলুন, তবে হ্যান্ডসেটে ( তার বিহীন) নয়।

তিন: যখন মোবাইল ফোনের সিগন্যাল দুর্বল থাকবে বা ব্যাটারির চার্জ কম থাকবে তখন মোবাইল ব্যবহারে বিরত থাকুন।

চার: যানবাহন ( কার, বাস, ট্রেন, প্লেন) এবং লিফটে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিরত থাকুন। কারণ ধাতব বস্তুর নিকটবর্তী থাকলে রেডিয়েশনের মাত্রা বেড়ে যায়।

পাঁচ: পকেট বা শরীরের সংস্পর্শে মোবাইল ফোন না রেখে ব্যাগে রাখুন।

ছয়: জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন দিবেন না। বিশেষ করে যাদের বয়স আঠারো বছরের কম।

 

সাত: মাথার পাশে মোবাইল রেখে ঘুমাবেন না। কমপক্ষে কয়েকফুট দূরে রাখুন। যদি ফোনে এলার্ম সেট করতে চান এয়ারপ্লেন মুডে রাখুন।

আট: ল্যাপটপ বা ট্যাবে কাজ করার সময় টেবিলে বসে করুন। কোলে বা বুকের ওপর কখনো রাখবেন না।

নয়: মোবাইল ফোন চার্জে থাকা অবস্থায় কখনো ব্যবহার করবেন না।

দশ: ওয়াইফাই রাউটার আপনার বেডরুম বা যে রুমে আপনি বেশীরভাগ সময় কাটান তা থেকে দূরে রাখুন এবং রাতের বেলায় বন্ধ রাখুন।

এগারো: অন্ধকারে মোবাইল, ল্যাপটপ ব্যবহারে বিরত থাকুন। কারণ অন্ধকারে মনিটর থেকে যে রশ্মি নির্গত হয় তা আমাদের চোখের জন্য ক্ষতিকর।

বারো: যদি মোবাইলে কোন ভিডিও বা মুভি দেখতে বা গান শুনতে চান তাহলে আগে ডাউনলোড করে নিন। পরে এয়ারপ্লেন মুডে উপভোগ করুন।

তেরো: শিশুরা যদি মোবাইল বা ল্যাপটপে গেম খেলতে চায় তাহলে এয়ারপ্লেন মুডে সেট করে দিন।

উল্লেখ্য, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য আরও অনেক জিনিস আছে যা থেকে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ বা রেডিয়েশন নির্গত হয়। যেমন: মাইক্রোওয়েভ ওভেন, এলইডি টিভি, এলইডি লাইট, রিমোট কন্ট্রোল, রেডিও ইত্যাদি। কাজেই এই জিনিশগুলো ব্যবহারেও আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

লেখক: ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar