ফেসঅ্যাপের বিরুদ্ধে তদন্ত চান মার্কিন সিনেটর
ফেসবুকে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ফেসঅ্যাপ। যে কেউ এই অ্যাপসের সাহায্যে নিজের বয়স বাড়িয়ে কমিয়ে কেমন দেখা যায় সেটা দেখতে পারেন। এমনকি কাউকে বিপরীত লিঙ্গের মানুষ হলে কেমন দেখা যেত সেটাও দেখা যায় এই অ্যাপসের মাধ্যমে।
কিন্তু সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এই ফেসঅ্যাপ ব্যক্তিগত গোপন তথ্যের ক্ষেত্রে উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ ফেসবুকে এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহারের সময় তৃতীয় পক্ষের হাতে ব্যক্তিগত তথ্য তুলে দেওয়ার জন্য সম্মতি দিতে হয়। ফলে এসব তথ্য দেয়ার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকির সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক অ্যাকাউন্টও হ্যাক হতে পারে।
সে কারণেই জনপ্রিয় এই ফেসঅ্যাপের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর চার্লস সুমার। তিনি এ বিষয়ে তদন্ত করতে এফবিআই এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশনকে (এফটিসি) আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার(১৭ জুলাই) এ বিষয়ে এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিসটোফার রে এবং এফটিসির চেয়ারম্যান জোসেফ সিমন্সকে চিঠি পাঠিয়েছেন সুমার। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের ওয়ারলেস ল্যাবের তৈরি এই ফেসঅ্যাপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই মার্কিন সংখ্যালঘু সিনেটর। তিনি বলেন, এই অ্যাপ জাতীয় নিরাপত্তা এবং কয়েক লাখ মার্কিন নাগরিকের গোপনীয় তথ্য ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
সুমার তার চিঠিতে লিখেছেন, এই ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি নজরদারি এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত এবং বায়োমেট্রিক তথ্যগুলো নিরাপদ রাখার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন।
নিছক আনন্দ নিতে গিয়ে ওই অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছে ব্যবহারকারীর ছবি ও তথ্য চলে যাচ্ছে। ওই অ্যাপে বহু মানুষ নিজেদের ছবি দিয়েছেন। সেগুলো সংস্থার সার্ভারে রয়েছে। বিশ্বের বহু ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন এখন ব্যবহারকারীর মুখের ছবি দিয়েই (ফেস রেকগনিশন পাসওয়ার্ড) খোলা যায়। ফলে ওই সংস্থার কাছে কিন্তু পাসওয়ার্ডও চলে যেতে পারে।
Comments
So empty here ... leave a comment!