বাহারি মরিচ ফুল………..মোঃ আব্দুর রহীম মিঞা
নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: সৌন্দর্যের ও ভালোবাসার প্রতীক ফুল। বিশ্ব ভালো বাসা দিবসে প্রিয়জনকে ফুল উপহার না দিলে ভালোবাসাদিবসের ভালোবাসাই থাকে না,ভালোবাসা হয়ে যায় শ্রীহীন। ফুল বাগানে প্রস্ফুটিত হলেও দোলা দেয় মানব হদয়ে । ফুলকে ভালো বাসেনা এমন কে আছে ? সেই ফুলে ঘুরে বেড়ায় প্রজাপ্রতি,মৌমাছি,অন্যান্য কীটপ্রতঙ্গ। সংগ্রহ করে মধু । সব ফুলেই বসেনা মৌমাছি এটি এ দেশের মানুষের মুখে মুখে বলা একটি প্রবাদ বাক্য। মধুর সন্ধানে আজ-কাল সব ফুলেই বসতে দেখা যায় মৌমাছিদের। ফুলের উপর প্রজাপ্রতি বসলেতো তার সৌন্দর্যের তুলনাই হয় না । সে এক অপরূপ দৃশ্য। বাংলাদেশে নানা রকম ফুলের সমাহার চোখে পড়ে যা মানবমনকে করে পরিশুদ্ধ। বৈচিত্র চোখের অনুূভূতিতে যে মন-প্রাণ সতেজ করে গরমের পরএক পশলা বৃষ্টির মতো। এ দেশে বারো মাসই দেখতে পাওয়া যায় নানা রকম বাহারি ফুল । শখের বশে বাড়ির আঙ্গিনায় , ছাঁদে অথবা ঘরের পইঠার কাছে ফুলের বাগান নাইবা হোক দু-একটি ফুল গাছ লাগানো চেষ্টা করে ছোট-বড় সকলেই। গোলাপ,হাসনা হেনা , রজনীগন্ধা কতইনা জানা -অজানা ফুলের সু-গন্ধ বিমোহিত করে মানব মনকে । বিভিন্ন রকম ফুল যা অতীতে বিভিন্ন সভ্যতার সঙ্গে নিজেকে নিবিরভাবে জড়িয়ে ফেলেছে, যা বর্ণনাই দুষ্কর।
ফুলকে ভালোনা বাসে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কল্পনাতীত। কবি বলেছে মোটে যদি ঝোটে একটি পয়সা ফুল কিনিও তাহার তরে। আজ এমন একটি বাহারি ফুলকে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎভাসিত করছি যার গোলাপ, রজনীগন্ধা,হাসনা-হেনা ফুলের মতো সু-গন্ধ নেই,অথচ আছে তার অপরূপ সৌন্দর্যের বাহার,ঘরের আঙ্গিনার গন্ধহীন মরিচ ফুল । এদেশে কাঁচা মরিচ, কে-না চেনে, যুবা থেকে শুরু করে বুদ্ধা, অথচ যে ফুল থেকে মরিচের সৃষ্টি তাকেই মানুষ বেশি মূল্যে ক্রয় করেও রান্নার কাজে ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না ।অথচ সেই ফুল মানব মনকে আকৃষ্ট করে না। টাকি মাছের পোনা বাজি, মলা-ডেলা রান্না, খাসির কলিজা বুনা, মশারির ডাউল রান্নাসহ,নানা প্রকার ভর্তা-ভাজিতে কাঁচা মরিচ না হলে বাঙ্গালীর মুখ রোচক খাবারই হয়না, মরিচের জন্ম যে ফুল থেকে তাকে দৃষ্টিতে রাখে কয়জন। কবির ভাষার জগৎ ঘুড়িয়া দেখি ফুলের বাহার বাড়ির আঙ্গিনায়মনোমুগ্ধ কাচা মরিচের ফুল দৃষ্টি দেইনি তাহার। অথচ সকলের দৃষ্টির আড়ালেই থেকে যায় এ বাহারি মরিচের ফুলগুলো।
Comments
So empty here ... leave a comment!