ad720-90

বিটিআরসি’র হিসাবে কলড্রপের শীর্ষে গ্রামীণফোন


গ্রাহকের অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে সোমবার ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর এক বছরের কলড্রপের একটি পরিসংখ্যান দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। 

পরিসংখ্যান মতে এই সময়ের মধ্যে কলড্রপের শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। এই এক বছরে গ্রামীণফোনের কলড্রপের সংখ্যা ১০৩ কোটি। এরপর রবির কলড্রপ ৭৬ কোটি, বাংলালিংকের ৩৬ কোটি ও রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের কলড্রপ ৬ কোটি।

প্রকৃত কলড্রপের অবস্থা ও এ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা পাঠাতে অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।

বিটিআরসির তথ্যে দেখা যায়, এক বছরে জিপির কলড্রপ ১০৩ কোটি ৪৩ লাখ। একের অধিক কলড্রপ হয়েছে ২৭ কোটি ৭৭ লাখ। কল মিনিট ফেরত দিয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ।

রবির কলড্রপ হয়েছে ৭৬ কোটি ১৮ লাখ। একের অধিক কলড্রপ হয়েছে ২৪ কোটি ৪৭ লাখ। কলমিনিট ফেরত দিয়েছে ৬ কোটি ৮২ লাখ। বাংলালিংকের কলড্রপ হয়েছে ৩৬ কোটি ৫৪ লাখ। একের বেশি কলড্রপ হয়েছে ১৭ কোটি ১৪ লাখ। কল মিনিট ফেরত দিয়েছে ৪ কোটি ৯৪ লাখ। টেলিটকের কলড্রপ ৬ কোটি হলেও একের অধিক কল ড্রপ হয়নি।

২০১৬ সালের জুনে বিটিআরসির এক নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো মোবাইল সংযোগ থেকে দিনে একের বেশি কলড্রপ হলে এক মিনিট টকটাইম গ্রাহককে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং সেটা এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হবে।

বিটিআরসি নির্ধারিত মান অনুযায়ী, কলড্রপের হার ২ শতাংশের কম হলে তা হবে মানসম্পন্ন সেবা। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক জানিয়েছেন, কলড্রপের বিষয়ে অপারেটরদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এটা না কমলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, গত অগাস্ট মাস পর্যন্ত দেশে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৫ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ৭ কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার। আর রবির গ্রাহক ৪ কোটি ৬১ লাখ ৩২ হাজার, বাংলালিংকের গ্রাহক ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার এবং টেলিটকের গ্রাহক ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar