ad720-90

বাড়তি টাকা গুনতে হবে জিপি অপারেটরদের


লাস্টনিউজবিডি,১৮ এপ্রিল: তাত্পর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন অপারেটর (এসএমপি অপারেটর) হিসেবে গ্রামীণফোনের কলরেট বাড়ছে। ফলে এখন থেকে এই অপারেটর ব্যবহারকারী গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে কথা বলতে বাড়তি টাকা গুণতে হবে। তবে বর্ধিত কলরেট এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি। নতুন করে এই এসএমপি বিধিনিষেধের কারণে অপারেটরটির ডেটা রেটও বাড়ানো হতে পারে।

গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে টেলিযোগাযোগ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসএমপির আওতায় গ্রামীণফোনের কলরেট বাড়ানোর বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান জহুরুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জানা যায়, গ্রামীণফোনকে সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) ঘোষণার অংশ হিসেবে তাদের কলরেট বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে গ্রামীণফোনের ডেটা চার্জও বেড়ে যেতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের বৃহত্তম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোনকে সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১ মার্চ থেকে তা কার্যকর শুরু করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)।

বর্তমানে যে কোনো মোবাইল অপারেটরের সর্বনিম্ন কলরেট ৪৫ পয়সা প্রতি মিনিট। ভ্যাট এবং অন্যান্য শুল্ক আরোপের পর তা দাঁড়ায় ৫৪ পয়সায়। যদিও এমননিতেই যে কোনো অপারেটরের চেয়ে গ্রামীণফোনের কলরেট বেশি।

বিটিআরসির রেগুলেশন বলছে, কোনো গ্রাহকই মার্কেটের ৪০ শতাংশের বেশি দখলে রাখতে পারবে না। গ্রাহক সংখ্যা অনুযায়ী বর্তমানে গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার ৪৫.৮ শতাংশ, রবির ৩০ শতাংশ, বাংলালিংকের ২২ শতাংশ এবং টেলিটকের ২.৫ শতাংশ। মোবাইল অপারেটরগুলোর মোট আয়ের অর্ধেকের বেশি গ্রামীণফোনের (৫১ শতাংশ)।

এসএমপি হওয়ার ফলে গ্রামীণফোন কোনো মার্কেট কমিউনিকেশন করতে পারবে না, কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বতন্ত্র বা একক স্বত্ত্বাধিকার চুক্তি করা থেকে বিরত থাকতে হবে, মাসে কল ড্রপ ২ শতাংশের বেশি হতে পারবে না এবং এমএনপি এর মাধ্যমে কোনো গ্রাহককে তার ৩০ দিন পর্যন্ত রাখতে পারবে। যদিও এমএনপিতে একবার অপারেটর পরিবর্তন করলে ৯০ দিন পর আবার অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে। কিন্তু গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে তা ৩০ দিন করা হয়েছে।

বিটিআরসি বলছে, টেলিযোগাযোগের বাজারে শৃঙ্খলা ও প্রতিযোগিতা আনতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে এই শিল্পেরই উপকার হবে। এর আগে টেলিযোগাযোগ খাতে মনোপলি বন্ধে প্রণীত সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) রেগুলেশন জারি করেছিল বিটিআরসি।

মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্ব আয় দুই বিবেচনাতেই এই অপারেটরটিকে এসএমপি ঘোষণা করা হলো।

মার্কেট নিয়ন্ত্রণের জন্যেই বিভিন্ন দেশে এসএমপি চালু করা হয়। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে অনেক আগেই এসএমপি চালু হয়েছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এবার তা কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হলো।
লাস্টনিউজবিডি/এসএস

সর্বশেষ সংবাদ



সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar