ad720-90

হাড়ক্ষয় এড়াতে যা করবেন


ডিএমপি নিউজঃ মানুষের হাড়ের ক্ষয় হওয়াকে ডাক্তারী পরিভাষায় অস্টিওপোরেসিস  বলা হয়।কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই মানুষ নীরব ঘাতক অস্টিওপোরেসিস বা হাড়ক্ষয় রোগ আক্রান্ত হয়।  আর একবার এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কোনো চিকিৎসাই  কাজ হয় না।

সাধারণত নারীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হন। ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের জন্য এটি প্রায় কমন রোগে পরিণত হয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে পুরুষরাও এ রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।এই রোগের পারিবারিক ইতিহাসের ঝুঁকি বেশি। বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি রোগে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি যাদের বেশিঃ

সাধারণত মেনোপজ-পরবর্তী নারীদের হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি বেশি, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না, উচ্চতা অনুসারে যাদের ওজন কম, যারা নিয়মিত পরিমাণমতো ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি সেবন করেন না, ধূমপায়ী ও মদ্যপান করেন, ইস্ট্রোজেন, টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে, থাইরয়েড ও প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বেশি হলে হাড়ক্ষয়ের প্রবণতা বাড়ে।

প্রতিকারঃ

অস্টিওপরোসিস বা হাড়ক্ষয় রোগ প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিকার উত্তম। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, নিয়মিত ব্যায়ামে হাড়ের শক্তি বাড়ে। এতে হাড়ের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে জয়েন্টগুলো সচল রাখে। শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে হাড়ক্ষয় কমায়।

ওষুধ-

নিয়মিত পরিমাণমতো ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি জাতীয় খাবার সেবন করবেন, হাড়ের প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ডি। ক্যালসিয়ামের জন্য নিয়মিতভাবে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার সেবন করুন।

ভিটামিন-ডি এর ৯০ ভাগ উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো। তাই প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুন, পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ খান। এতে হাড় ভালো থাকবে।

মদ ও ধূমপান হতে বিরত থাকুনঃ

ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন। কারণ, এতে হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি করে। ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। হাড় ভাঙা রোধে বাথরুমে পিচ্ছিল ভাব দূর করুন। রাতে ঘরে মৃদু আলো জ্বালিয়ে রাখুন।

অন্ধকারে চলাফেরা করবেন না। অতিরিক্ত ওজন বহন করবেন না। এ ছাড়া কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন, ভালো থাকুন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar