ফোনের স্টোরেজ বাড়াতে যা করবেন!

এ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে বিভিন্ন সময়ে যে সমস্ত এ্যাপ, গানের ক্লিপ বা মুভি ডাউনলোড করার ফলে এর স্টোরেজ খুব দ্রুত ভর্তি হয়ে যায়। স্মার্টফানে ধীরে ধীরে যখন স্টোরেজ ফুল হয়ে আসে তখন কোন কিছু সেভ করতে গেলে অনেক সমস্যা হয়। ফলে নতুন কিছু ডাউনলোড কিংবা স্টোরে জমা রাখতে গেলে আগের কিছু ডিলিট করতে হয়।

এন্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ সমস্যায় ভোগেন অনেক ইউজার। কিন্তু তবে একটু সতর্ক হলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যেতে পারে। আসুন জেনে নেই কিছু উপায়-

পুরনো ডাউনলোড ফাইল ডিলিট: বহু অপ্রয়োজনীয় ফাইল যেগুলো আগে প্রয়োজন ছিল কিন্তু এখন নেই। আমরা বহু ফাইল ডাউনলোডের পর তা ডিলিট করতে ভুলে যায়। এর ফলে ওই ফাইলগুলো জায়গা নিয়ে বসে থাকে। তাই একদিন সময় করে ডাউনলোডস ফোল্ডারে যান। পুরোনো অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো সিলেক্ট করে দিন ডিলিট টিপে। দেখবেন, অনেকটা হালকা হবে ফোনটি!

লাইট অ্যাপ ব্যবহার করুন: ফেসবুক, মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপগুলোর কিন্তু লাইট ভার্সন রয়েছে। এর ফলে আপনার স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ে ও ফাস্ট কাজ করে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট: অনেক অ্যাপ ইনস্টল করা থাকে। যা আদৌ আমাদের প্রয়োজন হয় না বা প্রয়োজন হলেও তার খুব বেশি ব্যবহার করা হয় না। যদি এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাপ থাকে তাহলে এখনই উচিৎ সেগুলিকে আনইনস্টল করে ফেলা। যদি পরবর্তীতে কখনও সেগুলির প্রয়োজন হয় তাহলে অ্যাপগুলো আবার ডাউনলোড করে নেওয়া সম্ভব।

এসডি কার্ডে অ্যাপ ইনস্টল: সবসময় স্মার্টফোনের ওএস-এর ওপর চাপ কমাতে কিছু অ্যাপ মাইক্রো এসডি কার্ডে পাঠিয়ে দিন। এতে জায়গাও বাঁচবে এবং স্মার্টফোনটি দ্রুত কাজ করবে।
গুগল ফটোস: সাধারণ গ্যালারি স্টোরেজ না বাড়িয়ে গুগল ফটোসে ফটো ব্যাকআপ করাই যেতে পারে। এর মাধ্যমে যখন ইচ্ছা ফটো দেখতেও পারবেন পাশাপাশি এডিটও করতে পারবেন। বাড়তি পাওনা গ্যালারি স্টোরেজ কমবে।

ইনস্টলকৃত অ্যাপ কার্ডে মুভ করুন: এ বিষয়টি হয়তো কারো অজানা নয় যে আমরা যখন প্রাথমিকভাবে প্লে স্টোর থেকে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করি, তখন সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে ইনস্টল হয় এবং সেখানেই অ্যাপটি রান করার জন্য যত প্রয়োজনীয় ফাইল রয়েছে সেগুলি জমা হতে থাকে। যার ফলে ফোনের মেমোরী পূর্ণ হতে থাকে। প্রাথমিকভাবে যদিও বা অ্যাপগুলি ইন্টারনাল মেমোরিতে স্পেস দখল করে থাকে কিন্তু পরবর্তীতে অবশ্যই আপনার সেটিকে এসডি কার্ডে মুভ করে নিতে হবে। তা হলে ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে চাপ কমবে।

ক্যাশ ও ডেটা ক্লিয়ার: ফোনের অ্যাপ ম্যানেজারে যান। সেখানে গিয়ে অ্যাপগুলো সিলেক্ট করুন। তারপর তার ডেটা ও ক্যাশ ডিলিট করুন। এতে পুরনো অ্যাপ মুছে গেলেও একসঙ্গে অনেক জিবি বেঁচে যায়। তবে মনে রাখবেন, অ্যাপ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাশে বাড়বে এবং আপডেটের সঙ্গে সঙ্গে ডেটা সাইজ বাড়বে।

সপ্তাহের একটি সময় ফোনের স্টোরেজের দিকে নজর রাখুন। অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে দিন বা মোবাইল হার্ডডিস্কে ব্যাকআপ করে রাখুন। এতে যেমন ফোনের স্টোরেজকে খালি রাখা যাবে, তেমনি আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা বা মিডিয়া ফাইলগুলোও পাবে বাড়তি লেভেলের সুরক্ষা।