ad720-90

ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা


সমালোচনা আর বিতর্ক ফেসবুকের পিছু ছাড়ছে না। প্রাইভেসি লঙ্ঘন, ভুয়া খবর ঠেকাতে ব্যর্থতা কিংবা তথ্যের অপব্যবহার নিয়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের ক্লাস–অ্যাকশন মামলা হয়েছে। খবর আইএএনএস–এর।

ওই অঙ্গরাজ্যে ফেসিয়াল রিকগনিশন সংক্রান্ত তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগে হওয়া মামলাটি ফেসবুকের পক্ষ থেকে বাতিল করার অনুরোধ জানানো হয়। তবে সানফ্রান্সিসকোর তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল ফেসবুকের ওই আবেদন খারিজ করেছে। গতকাল শুক্রবার প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, ফেসবুক এখন যদি সুপ্রিম কোর্টে না যায় তবে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের ক্লাস-অ্যাকশন মামলাটির শুনানি শুরু হবে।

অভিযোগে বলা হয়, ইলিনয়ের লোকজনের কাছ থেকে তাদের আপলোড করা ছবি স্ক্যান করে চেহারা শনাক্ত করার আগে কোনো অনুমতি নেয়নি ফেসবুক। এমনকি তাদের ওই তথ্য কতদিন ফেসবুকের কাছে সংরক্ষণ করা হবে সে তথ্যও জানানো হয়নি। ২০১১ সাল থেকে চেহারা শনাক্ত করতে ফেসবুক তাদের ম্যাপিং শুরু করে। ফেসবুক এ মামলায় হেরে গেলে ব্যক্তি প্রতি এক হাজার থেকে ৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হবে। ৭০ লাখ ব্যবহারকারীকে এ জরিমানা দিতে হলে তাদের পকেট থেকে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চলে যাবে।

২০১১ সালে ফেসবুক তাদের ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করার সময় বলেছিল ফেসবুক বন্ধুদের শনাক্ত করতে এটি কাজে লাগবে।

আদালতে বিচারক বলেছেন, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিষয়গুলো এবং প্রকৃত পছন্দের বিষয় লঙ্ঘন করে। এটি ইলিনয়নের বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন প্রাইভেসি অ্যাক্ট লঙ্ঘন করে।

ফেসবুকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যারের ব্যবহার নিয়ে ফেসবুক বরাবরই ব্যবহারকারীদের বলে আসছে। এটা তারা ব্যবহার করবেন কিনা সে নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে রয়েছে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে অপশনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে।

এর আগে প্রাইভেসি নিয়ে অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের সঙ্গে রেকর্ড ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে সমঝোতা করেছে ফেসবুক। এবারে তার চেয়েও বড় জরিমানার মুখোমুখি ফেসবুক।

 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar