ইউটিউবে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন: মুখ বন্ধ গুগলের
রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে যখন ফেইসবুক ও টুইটার নিজ নিজ সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে, ঠিক সে সময়টিতেই মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে মার্কিন এই সার্চ জায়ান্ট- খবর মার্কিন টিভি চ্যানেল ও সংবাদ সেবাদাতা সিএনবিসি’র।
প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে প্রায়শই দেখানো হয় রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন।
মার্কিন টেলিভিশন ও ফেইসবুকে যারা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন, গত মাসেও ‘নতুন টুলসের’ লোভ দেখিয়ে তাদের ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে গুগল। গুগলের বিজ্ঞাপননির্ভর ব্যবসা কাঠামোয় মোট লাভের ৮৪ শতাংশই আসে বিজ্ঞাপন থেকে। আর ওই বিজ্ঞাপননির্ভর লাভের অংকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে ইউটিউব।
গুগলের এই অনুপস্থিতি সবার চোখে না পড়ার পেছনেও অবশ্য বেশ বড় একটি কারণ রয়েছে। ফেইসবুক ও টুইটার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রার্থীরা সাধারণের কাছে নিজ বক্তব্য পৌঁছে দিতে পারেন বা ভ্রান্ত তথ্যের মিশেলে ‘সংবাদ’ তৈরি করতে পারেন। ইউটিউবে ‘বিজ্ঞাপন’ দিয়ে ঠিক ওই কাজটি করা সম্ভব হয় না।
তারপরেও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন কম পায় না গুগল। সিএনবিসি বলছে, ট্রাম্পের ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ কমিটির রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের অধিকাংশই পেয়েছে গুগল। সেবাটিতে ওই রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলো প্রচারের জন্য ৮২ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি খরচ করেছিল ওই কমিটি। এ ছাড়াও বিজ্ঞাপন বাবদ সিনেট নেতৃত্ব তহবিল থেকে ৫০ লাখ ডলার ও কংগ্রেসনাল নেতৃত্ব তহবিল থেকে ৪০ লাখ ডলার পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সবমিলিয়ে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯০১টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন থেকে গুগলের আয় হয়েছে অন্তত ১২ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার। যদিও গুগলের মোট লাভের সঙ্গে তুলনা করলে এটি একেবারেই বড় কোনো অংক নয়। গত প্রান্তিকেই প্রতিষ্ঠানটির মোট মুনাফা হয়েছে ৩ হাজার তিনশ’ ৯০ কোটি ডলার।
তবে, ফেইসবুক ও টুইটারের মুনাফার অংকেও তেমন একটা ভূমিকা রাখছে না রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন। আগামী বছর রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন থেকে যা আয় করবে ফেইসবুক, তা প্রতিষ্ঠানটির মোট মুনাফার ০.৫ শতাংশেরও কম। আর ২০১৮ সালে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন থেকে টুইটার যা আয় করেছে, তা তাদের মোট মুনাফার ০.১ শতাংশের সমান।
পুরো বিষয়টি নিয়ে গুগলকে মন্তব্য করতে অনুরোধ করেছিল সিএনবিসি। তবে, প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সিএনবিসি বলছে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রশ্নে নিজ নিজ অবস্থানের ব্যাপারটি অন্তত পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছে ফেইসবুক ও টুইটার। গুগল নির্বাহীদের মতো এড়িয়ে যাচ্ছে না বিষয়টি।
Comments
So empty here ... leave a comment!