ad720-90

প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতীয় উদ্যোক্তা


মুকুন্দ মোহনকোভিড-১৯ নিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাইক্রোসফটের সাবেক কর্মী মুকুন্দ মোহন। মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে পড়াশোনা করা মুকুন্দ মাইক্রোসফটের প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক হয়েছিলেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। গত মঙ্গলবার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অফিস থেকে করোনাভাইরাসের সহায়তা তহবিল থেকে ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুকুন্দের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পেচেক প্রোটেকশন প্রোগ্রামের (পিপিপি) আওতায় ছয়টি কোম্পানির নামে আটটি ঋণ আবেদন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পিপিপি কর্মসূচির আওতায় করোনা মহামারির সময় কর্মী ধরে রেখে ব্যবসা চালু রাখতে ওই ঋণ দেওয়া হয়। যদি ওই ঋণের অর্থ নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তবে তা মঞ্জুরি সাহায্য হিসেবে পরিণত হয়। তবে মুকুন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, ভুয়া কোম্পানির নামে তিনি এ অর্থ নিয়েছেন। তাঁর কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মী নেই, এমনকি কিছু কোম্পানির অস্তিত্বও নেই।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে পরিচিত মুখ মুকুন্দ। ২০০৮ সালে তিনি বেঙ্গালুরুতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেন এবং মাইক্রোসফট স্টার্টআপ এক্সিলারেটর কর্মসূচি চালু করেন। ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটে যুক্ত হন তিনি। এক বছর পরেই আবার মাইক্রোসফট ছেড়ে দেন। তাঁর লিংকডউন প্রোফাইল অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমাজনের পণ্য ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। বেশ কিছু স্টার্টআপ কোম্পানির অংশ তিনি। এর বাইরে তিনি নিজেকে উত্তর আমেরিকার অনলাইন বাড়ি উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত বিল্ডডিরেক্ট কোম্পানির প্রধান কারিগরি কর্মকর্তার পরিচয় ব্যবহার করতেন।

মার্কিন অ্যাটর্নির অভিযোগ হচ্ছে, মুকুন্দ একটি ঋণ আবেদনে ভুয়া নথি জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ভুয়া ফেডারেল ট্যাক্স ফাইল ও নকল ইনকরপোরেশন তথ্য রয়েছে। তিনি সরকারি ঋণের টাকা আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবিনহুডের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছেন। এ ছাড়া মাহেনজো নামে একটি কোম্পানির জন্য ঋণ আবেদন করেন তিনি। এ সম্পর্কে নানা ভুয়া তথ্য দেন। এ কোম্পানির জন্য কোম্পানির কর্মীদের বেতনের ভুয়া কাগজপত্রও দেন তিনি। কিন্তু এ কোম্পানির কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম বা কর্মী নেই। অথচ তিনি মাহেনজো সম্পর্কে লিংকডইনে লিখেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম ফ্লোরিং ক্যাটালগ ও পণ্য তথ্যের ডেটাবেইস আছে তাঁদের। অন্য যেসব কোম্পানির নামে তিনি ঋণ নিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে জুপুট, জাইগ্যান্টিক, গিটগ্রো, ভ্যাংগাল ও এক্সপেক্ট সাকসেস।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar