ad720-90

শক্তিশালী ১০টি ম্যালওয়ার


আমরা প্রত্যেকেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে ভাইরাসএর আক্রমণ থেকে বাঁচাতে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করি। বেশিরভাগ মানুষই এর জন্য টাকা খরচ করে অ্যান্টিভাইরাস কিনে ইনস্টল করেন। অনেকে আবার অনলাইন থেকেই বিভিন্ন নামী অ্যান্টিভাইরাসেরট্রায়াল ভার্সানবদলে বদলে ব্যবহার করেন। কিন্তু এত কিছু করেও অনেক সময় বিপদ থেকে বাঁচা যায় না। এমন বেশ কয়েকটি ভাইরাস বা ম্যালওয়ার রয়েছে, যেগুলির কাছে বার বার অসহায় হয়ে পড়েছে বিশ্বের নামীদামি সব অ্যান্টিভাইরাস! আসুন এমন ১০টি ভাইরাস বা ম্যালওয়ার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেগুলির আক্রমণের হাত থেকে বাঁচা প্রায় অসম্ভব!

) জিউস: ২০০৭ সালে প্রথম জিউস ম্যালওয়ারের খোঁজ মেলে। কম্পিউটারে এই ভাইরাস বা ম্যালওয়ার কোনও ভাবে ইনস্টল হলে নিজে থেকেই ইন্টারনেট থেকে একাধিক ফাইল আর সফটওয়্যার আপডেট নিতে থাকে। সাইবার দুনিয়ায় এই ভাইরাস অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। ব্যাঙ্ক বা বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির পেছনে একাধিকবার জিউস ম্যালওয়ারের থাকার প্রমাণ মিলেছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭০ হাজার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আক্রান্ত হয়েছে

) জিউস গেমওভার: এই ম্যালওয়ার বাণিজ্যিক সফটওয়ারগুলিকে প্রভাবিত করে, ক্ষতিগ্রস্ত করে। ক্রেডিট কার্ড নম্বর, ব্যাঙ্কের পাসওয়ার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক করতে সিদ্ধহস্ত এই জিউস গেমওভার। বিশ্বের কয়েক লক্ষ অ্যাকাউন্ট এই জিউস গেমসওভার ম্যালওয়ারে আক্রান্ত

) ক্রিপ্টোলকার: এটি খুব পরিচিত একটি ম্যালওয়ার। কোনও ভাবে কোনও কম্পিউটারে এই ভাইরাস ঢুকলে সেটির সিস্টেম লক করে দেয়। যত ক্ষণ না ক্রিপ্টোলকারেরঅরিজিন্যাল সিরিয়াল কিদেওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণ সিস্টেম খোলা যায় না

) সাইকিপট: সাইকিপট এক প্রকার ট্রোজান ভাইরাস। ২০০৭ সালে প্রথম এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। পাসওয়ার্ড সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য হ্যাক করতে সক্ষম এই সাইকিপট

) কনফিকার: সাধারণত উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেম এই ম্যালওয়ার দ্বারা আক্রান্ত হয়। ২০০৮ সালে প্রথম এই ম্যালওয়ারের খোঁজ মেলে। কনফিকার এতটাই শক্তিশালী যে, কম্পিউটারে অ্যান্টি ভাইরাস থাকলে সেটিকে অকেজো করে খুব সহজেই অপারেটিং সিস্টেম বিকল করতে সক্ষম

) কোয়াকবট: যে কোনও পাসওয়ার্ড হ্যাক করার কাজে এই ম্যালওয়ারের জুরি মেলা ভার! ২০১১ সালে প্রথম এই ম্যালওয়ারের খোঁজ মেলে। অনলাইন ব্যাঙ্কিং, শপিং, গেমিংসহ যে কোনও মূল্যবান পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে সক্ষম এই কোয়াকবট

) স্টাক্সনেট: সাইবার হামলার অন্যতম ভয়ঙ্কর অস্ত্র এই ম্যালওয়ার। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ভেস্তে দেওয়ার জন্য আমেরিকা ইজরায়েল প্রতিরক্ষা দফতরের যৌথ উদ্যোগে এই ম্যালওয়ার তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। যদিও সরকারিভাবে এর কোনও তথ্যগত প্রমাণ মেলেনি

) কলার: এটি একটি ভয়ঙ্কর অ্যান্ড্রয়েড ট্রোজান ভাইরাস। ২০১৪ সালে প্রথম এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। মোবাইলে ব্রাউজিংএর সময় অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে ঢুকে পড়তে পারে এই কলার ভাইরাস। মূলত পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট থেকে এই ভাইরাস ঢোকার আশঙ্কা অনেক বেশি

) ফ্ল্যাশব্যাক: এটি একটি ট্রোজান ভাইরাস যা সাধারণত ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম। ২০১৪ সালে ফ্ল্যাশব্যাক আক্রমণে ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম চালিত প্রায় ২২ হাজার অ্যাকাউন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

১০) ব্ল্যাকপস: উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেমেরপয়েন্ট অফ সেল’- (পিওএস) যদি ক্রেডিট বা ডেভিট কার্ড ব্যবহার করা হয়, তার পাসওয়ার্ডসহ ব্যাঙ্কিংয়ের যাবতীয় তথ্য খুব সহজেই হ্যাক করতে পারে এই ব্ল্যাকপস ভাইরাস





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar