ad720-90

জামের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা


জৈষ্ঠ্য মাসের আরেক নাম হলো মধু মাস। এ মাস নানা রকম রসালো ফলে ভরপুর থাকে। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু আরও কতো কি। রসালো ও মজাদার ফলের একটি হচ্ছে কালো জাম। জাম পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। শুধু মজাদারই না এ ফলের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণও।

আসুন জেনে নেই জামের পুষ্টিগুণঃ

  • জামে থাকা ভিটামিন ‘সি’ গরমে ঠান্ডাজনিত জ্বর, কাশি ও টনসিল ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। দূর করে জ্বর-জ্বর ভাব। আর দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতেও এর অবদান অপরিসীম।
  • জামের ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তিকে করে শক্তিশালী।
  • ক্যানসারের জীবাণু ধ্বংস করার জন্য জামে রয়েছে চমকপ্রদ শক্তি। জাম মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরী।
  • বৃদ্ধ বয়সে চোখের অঙ্গ ও স্নায়ুগুলোকে কর্মময় করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশুদের জন্যও এই ফল ভীষণ উপকারি।
  • জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি।
  • মানুষের স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে জাম।
  • উচ্চ রক্তচাপ বা হাইব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ভীষণ উপকারি।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে জাম।
  • দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মলদ্বারে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জামের বাইরের আবরণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। আঁশজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। জাম মলদ্বার বা কোলনের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
  • জামের মধ্যে পাওয়া ইলাজিক নামক অ্যাসিড ত্বককে করে শক্তিশালী। ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বক ও চুলকে রক্ষা করে। এই ইলাজিক অ্যাসিড ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। জাম হৃৎপিণ্ডের অসুখ, জরায়ু, ডিম্বাশয়, মলদ্বার ও মুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
  • জামের কচিপাতা পেটের পীড়া নিরাময়ে সাহায্য করে। জামের বীজ গুড়া করে বহুমুত্র রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
  • পাকা জাম বিট লবণ মাখিয়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রেখে ছেঁকে রস বের করে নিন। এই রস খেলে পাতলা পায়খানা, অরুচি ও বমিভাব দূর করে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar