জেনে নিন তিতা নিমের মধুর গুণ সম্পর্কে

মুখে একটু ব্রণ হলে বা ত্বকের কোন সমস্যা হলেই আমাদের দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে যায়।  অথচ হাতের কাছেই প্রাকৃতিক উপাদান নিমপাতা আমাদের এক্ষেত্রে খুব সাহায্য করতে পারে। নিমের তেলে প্রচুর ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি এসিড থাকে যা ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী। নিমপাতার ব্যবহার অনেক প্রাচীণ বিধায় অনেকেই এর ব্যবহার জানেন কিন্তু এত এত কসমেটিক এর  ছলনায় আমরা আসলেই কি এর কথা মনে রেখেছি? আসুন জেনে নেই তিতা নিমের মধুর গুণের কথা এবং এর ব্যবহারঃ

০১. নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী। ব্রণের সংক্রমণ হলেই নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফল নিশ্চিত।

০২. মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে, চুল শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা কমে যায় এবং চুল তাড়াতাড়ি গজায়।

০৩. ত্বকের চুলকানিতেও নিমপাতা বেটে লাগালে  ভালো উপকার পাওয়া যায়।

০৪. নিয়মিত নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। তবে হলুদ ব্যবহার করলে রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ কম হবে।

০৫. নিমের পাতা খেলে আমাদের শরীরের পরিপাক তন্ত্রের গতি বাড়ে সেই সাথে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেয় এবং রক্তের শুদ্ধতা বাড়ায়, ফলাফল হিসেবে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে আপনার ত্বক পরিষ্কার থাকবে। এ জন্য নিমের পাতা ৩/৪ টি প্রতিদিন চিবিয়ে খেতে হবে। অথবা নিমপাতা বেটে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাতে দিন। ভালো ভাবে শুকিয়ে গেলে কাঁচের বয়ামে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে ২/৩ টি বড়ি পানি দিয়ে পেটে চালান করে দিন।

০৬. নিমপাতা সেদ্ধ পানি গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে নিন। যাদের স্কিন ইরিটেশন এবং চুলকানি আছে তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে ।

০৭. নিমপাতা সেদ্ধ পানি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। কোন ফেসপ্যাক পেস্ট করার সময় পানির বদলে এই নিম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

০৮. নিমের ডাল যে দাঁতের জন্য উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের জীবাণু রোধে এটি বেশ কার্যকরী।

০৯. কাটা ছেড়া বা পোড়া স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ঔষুধের মতো কাজ করে।

১০. নিম পাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারেন পরবর্তীতে ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।