মঙ্গলে পানির চিহ্ন আবিস্কার নাসার

মঙ্গলে পানির চিহ্ন আবিষ্কার করল নাসা।  গ্রহের দক্ষিণ দিকে এরিদানিয়ায় সমুদ্র থাকার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। নাসার মার্সরেকনাইসেন্স অর্বিটার এই তথ্য দিয়েছে। এরিদানিয়ায় প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে সমুদ্র ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

কারণ এখানে সমুদ্রের তলার হাইড্রোথার্মাল অ্যাক্টিভিটির নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, পানি গরম হয়ে বাস্পীভূত হয়ে এই জায়গার সৃষ্টি হয়েছে। নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের পল নাইলস জানিয়েছেন, জায়গাটি সেখানে সমুদ্র থাকার প্রমাণ দিচ্ছে। পৃথিবীতে যেমন সমুদ্রের গভীরে জলবিদ্যুৎ শক্তি আছে, তেমনই এখানেও পাওয়া গিয়েছে।  প্রাণ থাকার উপযুক্ত পরিবেশও এখানে আছে। জীবন ধারণের জন্য কোনও অসাধারণ আবহাওয়া দরকার হয় না। শুধু মাটি, তাপ ও পানি হলেই চলে। মঙ্গলের ওই অঞ্চলে তার প্রতিটি উপাদানই পাওয়া গিয়েছে।

গবেষকরা এও জানিয়েছেন, এরিদানিয়ায় যে পানির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, তা নেহাত কম নয়। প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার কিলোমিটার জুড়ে সমুদ্র থাকার প্রমাণ মিলেছে। ধাতব মিশ্রণও এখানে পাওয়া গিয়েছে। অভ্র ও কার্বোনেটের প্রমাণ মিলেছে। সেগুলো যেভাবে ছড়িয়ে আছে, তাতে পানি থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এলাকায় লাভার চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। লাভার প্রমাণ পাওয়ার পর এটুকু স্পষ্ট যে এখানে আগ্নেয়গিরির অস্তিত্ব ছিল। নাইলস জানিয়েছেন, মঙ্গলে নতুন অ্যাস্ট্রোবায়োলজিকাল টার্গেটের প্রমাণ দিল এরিদানিয়া।

এরিদানিয়ায় পাওয়া এই সব প্রমাণ শুধু মঙ্গলের ক্ষেত্রে নয়, পৃথিবীর ক্ষেত্রেও একটি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। পৃথিবীতে জীবন কীভাবে এল সেদিকেও একটা নতুন দিশা দেখাতে পারে মঙ্গল।