ad720-90

ক্যান্সার চিকিৎসার সময় যেসব খাবার তালিকায় রাখবেন না


ক্যান্সারের রোগীরা অনেক সময় ভেষজ পিল গ্রহণ করেন। তবে বিষয়টি তাদের চিকিৎসককে জানানো প্রয়োজন। কারণ এসব ভেষজ পিল এর কিছু উপাদান ক্যান্সারের চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সম্প্রতি ক্যান্সার বিষয়ক এক কনফারেন্সে ধরণের তথ্য দেয়া হয়েছে। বিবিসি।

স্তন ক্যান্সার যখন ছড়িয়ে যায় তখন রসুন কিংবা আদা খেলে চামড়ার ক্ষত সারতে দেরি হতে পারে।

স্তন ক্যান্সার বিষয়ক পর্তুগালের শল্য চিকিৎসক অধ্যাপক মারিয়া জোয়াও কার্দোসো বলেন, ভেষজ পিল ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকরী হবার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ মিস অধ্যাপক কার্দোসো জানান, চিকিৎসকদের উচিত নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে রোগীদের জিজ্ঞেস করা যে ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় তারা অন্য কিছু খাচ্ছে কিনা? তিনি বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য রোগীরা যদি কোন বাড়তি থেরাপি গ্রহণ করেন তাহলে বিষয়টি তাদের চিকিৎসককে জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ,বিশেষ করে যে ক্যান্সার চামড়ায় ছড়িয়েছে।

এমন অনেক পণ্য আছে যেগুলোর কারণে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হরমোন থেরাপি এবং কেমোথেরাপির উপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া আরো কিছু পণ্য আছে যেগুলো রক্ত জমাট করতে দেরি করে।

কার্দোসো বলেন, কিছু ভেষজ জিনিস আছে যেগুলোর কারণে যেগুলো রক্ত জমাট হতে দেরি হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছেরসুন, জিনসেং এবং হলুদ।

তিনি বলেন, রোগী এবং তাদের স্বজনরা সবসময় বিকল্প চিকিৎসার খোঁজ করেন, যেটি বড় ধরণের পার্থক্য তৈরি করতে পারে।কিন্তু মানুষের জানা উচিত যে এসব বিকল্প চিকিৎসা ভালো করার চেয়ে খারাপ হতে পারে বেশি

তিনি বলেন, ঔষধের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হচ্ছে যাতে কোন ক্ষতি না হয়। ব্রিটেনের ক্যান্সার রিসার্চ বলছে, কিছু প্রথাগত ঔষধের বাইরে কিছু পদ্ধতির কারণে মূল চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

ক্যান্সার রিসার্চ বলছে, ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালীন মাল্টা এবং কমলার মতো খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, ক্যান্সারের ঔষধ শরীরের ভেতরে যেভাবে ভেঙ্গে কাজ করে, সেটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এছাড়া কামরাঙ্গা, বাঁধাকপি এবং হলুদও তালিকায় রেখেছে ব্রিটেনের ক্যান্সার রিসার্চ।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ” প্রথাগত চিকিৎসার বাইরে যে কোন ধরণের ঔষধ খাবার আগে আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। বিশেষ করে আপনি যদি ক্যান্সার চিকিৎসার মাঝামাঝিতে অবস্থান করেন।

স্তন ক্যান্সার বিষয়ক একটি দাতব্য সংস্থার ক্লিনিক্যাল নার্স বিশেষজ্ঞ গ্রিটি ব্রাউটিনস্মিথ বলেন, প্রমান ছাড়া অনেক তথ্য ইন্টারনেটে এখন সহজলভ্য। এসব তথ্য বিশ্বাস না করে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করলে রোগীরা সঠিক তথ্য পেতে পারে





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar