ad720-90

তন্ময়ের তৈরি ব্লাইন্ড স্টিক অন্ধদের পথ দেখাবে


নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: অন্ধ ব্যক্তির চলাফেরায় যাবতীয় সুবিধা সম্পন্ন আধুনিক ব্লাইন্ড স্টিক উদ্ভাবন করেছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মেডিকেল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তন্ময় রায়। বিভাগীয় প্রজেক্টের অংশ হিসেবে প্রায় সাত মাসের প্রচেষ্টায় এই কাজটি করেন তিনি।

সোমবার (১৭ আগস্ট) অত্যাধুনিক এই ডিভাইস উদ্ভাবনের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন তিনি। এই ব্লাইন্ড স্টিকের বিশেষত্ব হলো, এর মধ্যে থাকা আল্ট্রা সনোমিটার ফিচারের মাধ্যমে চলার পথে যেকোনো বাধা অন্ধ ব্যক্তি সহজেই বুঝতে পারবে। তিনি হারিয়ে গেলে অবস্থান নির্ণয়ের জন্য রয়েছে জিপিএস ফিচার।

স্টিককে আরও আপডেট করতে যুক্ত করা হয়েছে ওয়াটার সেন্সর, পালস সেন্সর ও ইমারজেন্সী বাটন ফিচার। ওয়াটার সেন্সরের মাধ্যমে অন্ধ ব্যক্তির পথে পানি জমে থাকলে তা বুঝা যাবে। পালস রেট মাপা ও যেকোনো বিপদে কল বা বার্তার মাধ্যমে সাহায্যের জন্য কাজ করবে বাকি দুটি ফিচার।

জানা যায়, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি কাজ শুরু করা এই ডিভাইসটি তৈরীতে প্রায় ১৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হলে এক থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যাবে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এমন ডিভাইস তৈরী করলেন তন্ময়।

নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে  নিউজ টাঙ্গাইলকে তন্ময় বলেন, ‘অন্ধ ব্যক্তির জন্য কিছু করতে পেরেছি বলে আমি অত্যন্ত খুশি। অন্ধ ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা না। তাদেরও ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এই ডিভাইসটি সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও আলোর পথ দেখাবে।’

পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে সহায়তা করেছেন বিভাগের সাবেক প্রধান ও প্রজেক্টের সুপারভাইজার ড. গোলাম আবু জাকারিয়া, বর্তমান বিভাগীয় প্রধান ড. হাসিন অনুপমা আজহারী, কো-সুপারভাইজার নাজমুল আলীম। এছাড়া এ কাজে সাহায্য করেছেন তার সহপাঠী মাহবুব আল মামুন ও উজ্জ্বল সরকার নামক একজন পরামর্শক।

এ বিষয়ে ড. আজাহারী বলেন, ‘আমাদের এই সেক্টরে কাজটাই হলো সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মানব সমাজের জীবন সহজ করা। আমরাও এই প্রযুক্তির সাহায্য দ্বারা নতুন নতুন কিছু তৈরী করতে শিক্ষার্থীদের সবসময় উৎসাহিত করি এবং সাপোর্ট দিই। এই ব্লাইন্ড স্টিক তারই ফসল। তন্ময়কে আন্তরিক অভিনন্দন। এভাবেই আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ডা: দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা একটি প্রশংসনীয় কাজ। যেকোনো কিছু তৈরী সহজ বিষয় নয়। এরকম একটা ডিভাইস আমাদের শিক্ষার্থীরা তৈরী করতে পেরেছে যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। যেসব প্রফেসর ও শিক্ষার্থী এটার কাজে ছিলেন, সবাইকে আমার তরফ থেকে অভিনন্দন।’





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar