ad720-90

বিশ্বের অন্যতম পেটেন্ট ধারক হুয়াওয়ে


নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: আইসিটি পণ্য-প্রযুক্তি ও সেবা প্রদানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে গত বছর এর বার্ষিক সর্বোচ্চ সংখ্যক পেটেন্ট অধিকারের রেকর্ড গড়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে বিদ্যমান সকল প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম পেটেন্ট ধারক।

স্মপ্রতি প্রতিষ্ঠানটির শেনজেন সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ‘ইনোভেশন অ্যান্ড আইপি প্রস্পেক্টস ইন ২০২১’ ফোরামে উদ্ভাবন এবং মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত নতুন হোয়াইট পেপারে হুয়াওয়ে এই তথ্য প্রকাশ করে।

সকল গুজব এবং চাপ উপেক্ষা করে হুয়াওয়ে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ এবং এর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে। ফলস্বরূপ, গত বছরের শেষে সারা বিশ্বের ৪০,০০০ এরও বেশি পেটেন্ট পরিবারে ১০০,০০০ এর অধিক সক্রিয় পেটেন্ট রয়েছে হুয়াওয়ের যেখানে ২০১৯ সালের শেষে এই সংখ্যা ছিল ৮৫,০০০ এর কিছু বেশি। পেটেন্ট মালিকানার ক্ষেত্রেও এটি প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি।

চীনের শীর্ষ পেটেন্ট ধারক হুয়াওয়ে টেলিকম সরঞ্জামে, বিশেষত ৫জি প্রযুক্তি, ভিডিও প্রায়োগিক প্রযুক্তি, ওয়াই-ফাই, কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পেটেন্টের মালিক।

হুয়াওয়ের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকার বিভাগের প্রধান জেসন ডিং বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উদ্ভাবন হুয়াওয়ের ব্যবসার ম‚ল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আজকের এই সাফল্য উদ্ভাবন এবং আরঅ্যান্ডডি-তে হুয়াওয়ের দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ফল।’

ডিং উলে­খ করেন, ২০১২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পেটেন্ট লাইসেন্সিং থেকে প্রায় ১.২ থেকে ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে হুয়াওয়ে। এবং প্রতিটি মাল্টি-মোড ৫ জি স্মার্টফোনের জন্য হুয়াওয়ে হ্যান্ডসেট বিক্রয় ম‚ল্যের যথাযথ শতাংশ রয়্যালটি হার প্রদান করবে , এবং প্রতি ইউনিট রয়্যালটি ক্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে ২.৫ মার্কিন ডলার। ডিং বলেন, “আমরা যে রয়্যালটি রেট ঘোষণা করেছি তা ৫জি বাস্তবায়নকারীদের আরও স্বচ্ছ ব্যয় কাঠামো নিশ্চিত করে ৫জি’র বিস্তার ত্বরান্বিত করবে”।

হুয়াওয়ে ১৯৯৫ সালে চীনে এবং ১৯৯৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রথম পেটেন্ট আবেদন জমা দেয়। ২০০৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অরগানাইজেশন পেটেন্ট আবেদনের সংখ্যার বিচারে হুয়াওয়েকে প্রথম স্থানে তালিকাভুক্ত করে। ২০১৯ সালে অনুমোদিত পেটেন্টের সংখ্যার বিচারে হুয়াওয়ে ইউরোপে দ্বিতীয় স্থান দখল করে।

বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, হুয়াওয়ে ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনে পেটেন্ট আবেদনে শীর্ষে ছিল। এমনকি অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি জায়ান্টরাও ছিল তার পেছনে। ২০২০ সালে হুয়াওয়ে উইপোর পেটেন্ট সহযোগিতা চুক্তির আওতায় ৫,৪৬৪ পেটেন্টের আবেদন করে। হুয়াওয়ের পরে ছিল যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং (৩,০৯৩), জাপানের মিতসুবিশি ইলেকট্রিক, দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি ইলেক্ট্রনিক্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোয়ালকম।

বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি (আইপি)-তে অবদানের হুয়াওয়ের দীর্ঘ প্রতিশ্রুতির কারণে পেটেন্ট মালিকানায় তাদের এই সাফল্য। হুয়াওয়ের ১০৫,০০০ আরঅ্যান্ডডি কর্মী রয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মশক্তির প্রায় ৫৩.৪ শতাংশ। আরঅ্যান্ডডিতে তাদের বিনিয়োগ ছিল আরএমবি (চীনা মুদ্রা) ১৩১.৭ বিলিয়ন।

“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar