ad720-90

অবশেষে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার


ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বাজারে আসে ১৯৯৫ সালে। প্রায় এক দশক আধিপত্য বিস্তারী ব্রাউজারের জায়গাটি ধরে রেখেছিল এটি। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের বান্ডলের সঙ্গেই আসতো ব্রাউজারটি। বিশ্বব্যাপী শত শত কোটি কম্পিউটারে প্রি-ইনস্টলড ছিল এটি।

পরে ২০০০ এর দশকের শেষ দিকে গুগল ক্রোমের কাছে হারতে শুরু করে এ ব্রাউজার। তুলনামূলক ধীরগতির জন্য মিম দুনিয়াতেও বহু মিমের জন্ম দিয়েছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার।

প্রতিযোগিতায় আরও ভালো করতে ২০১৫ সালে এজ ব্রাউজার নিয়ে আসে মাইক্রোসফট। গুগল ব্রাউজারের মতো একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এতে।

ওয়েব অ্যানালেটিক্স প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটকাউন্টারের তথ্য অনুসারে, এপ্রিলে ক্রোম বৈশ্বিক ব্রাউজার বাজারের ৬৫ শতাংশ দখলে রেখেছে, অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের সাফারির দখলে ছিল ১৮ শতাংশ, এজ ব্রাউজার দখলে রেথেছে তিন শতাংশ।

মাইক্রোসফট এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, “উইন্ডোজ ১০ এর সুনির্দিষ্ট কিছু সংস্করণে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করে দেওয়া হবে, আগামী বছরের ১৫ জুন থেকে আর মিলবে না সমর্থন।”

দুই দশক আগে মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে হওয়া এক অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার মূলে ছিল ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। পরে এক মার্কিন বিচারক রায় দেন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নিয়ম ভেঙেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। তারপরও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ও উইন্ডোজকে আলাদা করেনি প্রতিষ্ঠানটি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar