ad720-90

দেশে যাত্রা শুরু করলো মাইক্রোসফট স্কেলআপ


স্থানীয় স্টার্টআপগুলোকে মাইক্রোসফট মার্কেটপ্লেইসের
মাধ্যমে বৈশ্বিক বাস্তুসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত করা এ উদ্যোগের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে
মাইক্রোসফট বাংলাদেশ। এ ছাড়াও, এ কর্মসূচির মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে
কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও কমিউনিটি অ্যাসিসটেন্স প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তিতে।

‘মাইক্রোসফট স্কেলআপ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী
দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ কর্মসূচি ‘সিরিজ এ’ স্টার্টআপগুলোকে সহায়তার লক্ষ্যে কাজ করবে এবং মাইক্রোসফটের সঙ্গে যৌথ সম্পৃক্ততা (কো-সেল) এবং স্টার্টআপগুলোর
মাইক্রোসফট টেকনোলজি, ক্রেডিট ও মেন্টরশিপ গ্রহণের সুযোগ করে দেবে বলেও জানানো হয়।

তরুণ ডিজিটালের যৌথ সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ‘মাইক্রোসফট
স্কেলআপ’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও নেটওয়ার্কিং সেশনে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফট ফর স্টার্টআপস-এর
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (এমইএনএ) এবং সার্কের কান্ট্রি হেড লাতিকা এস পাই এবং
মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া
বশির কবির।

অনুষ্ঠানে
লাতিকা পাই ‘মাইক্রোসফট স্কেলআপ’- কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে
অংশ নেন। এ সেশনে এ কর্মসূচির বিভিন্ন দিক
নিয়ে আলোচনা হয়।

লাতিকা
বলেন, ‘বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম রয়েছে। এখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা,
জ্বালানি ও শক্তি, অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা, খাবার সরবরাহ, আইওটি ও কৃষিসেবা নিয়ে স্টার্টআপ
রয়েছে এবং স্টার্টআপগুলো একসঙ্গে
দেশের বিদ্যমান নানা সমস্যার সমধানে কাজ করতে পারে। মাইক্রোসফট এখানে উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম
উন্নয়নে কাজ করবে এবং সম্ভাবনাময় এসব স্টার্টআপের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।”

সোনিয়া বলেন, “আমাদের এ কর্মসূচির অংশ
হিসেবে আমরা সম্ভাবনাময় ‘এন্টারপ্রাইজ-রেডি’ স্থানীয় স্টার্টআপগুলো নির্বাচিত করবো
এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বৈশ্বিক মার্কেটপ্লেইস ও বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে
তাদের যুক্ত হতে নির্দেশনাগত সহায়তা করবো। আমাদের লক্ষ্য এ স্টার্টআপগুলোকে ইউনিকর্নে
(বিলিয়ন
ডলার মূল্যমানের প্রতিষ্ঠানে) পরিণত করা। এ কর্মসূচি আমাদের স্টার্টআপ কমিউনিটিতে নতুন
মাত্রা ও সঞ্চালন নিয়ে আসবে এটা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।”


উদ্যোগ বিটুবি স্টার্টআপগুলো নিয়ে কাজ করছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে, প্রাথমিক নির্বাচনের
পর বিশেষজ্ঞগণ নির্বাচিত স্টার্টআপগুলো বিশ্লেষণ করবেন। ব্যবসায়িক কৌশল ও অবকাঠামোর
উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই অবস্থা অর্জনে নানা সমস্যা শনাক্ত করে এর সমাধান নিয়ে কাজ করবেন
বিশেষজ্ঞরা।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar