নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে যাবে দেশের তরুণদের ৮ প্রকল্প
বেসিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, এবার
নাসা আয়োজিত এই অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার জন্য ঢাকার দল ‘টিম গেম চেঞ্জার ও ‘প্ল্যানেট কিট’, চট্টগ্রামের ‘টিম কিউ’ ও
‘টিম মাত্রা’, কুমিল্লার ‘টিম ফোটন’ ও ‘টিম মেটা কোডার্স’,
রংপুরের ‘এইচএসটিউ মেট্রোয়েড’ ও সিলেটের ‘টিম অলিক’ নির্বাচিত
হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
কোনো একটি অঙ্গরাজ্যে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরে লড়বে বাংলাদেশের তরুণদের আটটি দল।
চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় নয়টি শহরের
তরুণরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট,
রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ
ও কুমিল্লা থেকে জমা পড়ে দুই হাজারেরও বেশি প্রকল্প।
সেখান থেকে শীর্ষ ৪০টি প্রকল্প
নিয়ে ১৯-২০ অক্টোবর টানা দুই দিনব্যাপী হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (আইইউবি)।
টানা ৩৬ ঘণ্টার
হ্যাকাথন আয়োজন শেষে শনিবার রাতে পুরস্কার বিতরণী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ
ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস
কবীর।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ
প্রতিযোগিতাটি সম্পর্কে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, “টেকনোলজিস্ট,
বৈজ্ঞানিক, ডিজাইনার, আর্টিস্ট,
এডুকেটর, উদ্যোক্তা ইত্যাদিসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত
করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে ইনোভেটিভ সমাধান খুঁজে বের করাই
হল এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য।”
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮ প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক
দিদারুল আলম বলেন, “এবার ২০০০ প্রকল্প থেকে বাছাই করে সেরা ৪০টি
প্রকল্প আমরা নাসার জন্যে মনোনীত করেছে আয়োজক বেসিস স্টুডেন্ট ফোরাম।
“এবার সেরা ৮টি প্রকল্প আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়
অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।”
গত বছর ২২০টি শহরের মধ্যে বাংলাদেশ
থেকে দুইটি প্রকল্প ‘গ্লোবাল পিপলস চয়েস
ফাইনালিস্ট’ সম্মাননায় তৃতীয় ও পঞ্চম স্থান পেয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক
অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৫০টি শহরে এ প্রতিযোগিতার
আয়োজন করছে।
মহাকাশ বিষয়ের বাইরে জলবায়ু,আগ্নেয়গিরি, মঙ্গলগ্রহসহ ছয়টি ক্যাটাগরির অধীনে মোট ২০টি সাব-ক্যাটাগরিতে এবার হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হবে।
Comments
So empty here ... leave a comment!