মহাকাশ যাত্রায় নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী রকেট ল্যাব
রকেট
উৎক্ষেপণের দিক থেকে এবার স্পেসএক্স-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা
করবে মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার
নিউ জিল্যান্ডের লঞ্চ প্যাড থেকে ইলেকট্রন রকেটে করে মহাকাশ কক্ষপথে ছয়টি ছোট স্যাটেলাইট
পাঠিয়েছে রকেট ল্যাব। সামনের মাসগুলোতে আরও বাণিজ্যিক মিশন পরিচালনা করবে প্রতিষ্ঠানটি–
খবর প্রযুক্তি সাইট সিনেটের।
স্পেসএক্স-এর
মতো ঘনঘন ও সস্তায় রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য রয়েছে রকেট ল্যাবের। ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি
সপ্তাহে রকেট উৎক্ষেপণের প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির
রোববারের মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে, “ইট’স বিজনেস টাইম”। মহাকাশে পাঠানো স্যাটেলাইটগুলোর
মধ্যে স্পায়ার গ্লোবাল, টাইভ্যাক ন্যানো-স্যাটেলাইট সিস্টেমস, ফ্লিট স্পেস টেকনোলজিস
এবং আরভাইন কিউবস্যাট স্টেম প্রোগ্রাম-এর স্যাটেলাইট ছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
চলতি
বছরের এপ্রিল মাসেই চারটি স্যাটেলাইট নিয়ে মিশনটি পরিচালনার কথা ছিল। পরবর্তীতে কয়েক
দফা তারিখ পেছায় রকেট ল্যাব। রোববারের উৎক্ষেপণের কয়েক সপ্তাহ আগে এতে আরও দুইটি স্যাটেলাইট
যোগ করা হয়।
রকেট
উৎক্ষেপণের লাইভ সম্প্রচারে রকেট ল্যাব জানায়, শেষ মুহুর্তে বাড়তি স্যাটেলাইট যোগ হওয়া
প্রতিষ্ঠানটির দ্রুত মহাকাশে যাওয়ার ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়।
এক
বিবৃতিতে রকেট ল্যাব প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পিটার বেক বলেন, “বিশ্ব এখন নতুন
কিছুর দিকে এগোচ্ছে। ইলেকট্রন রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশে দ্রুত এবং নির্ভরতার
সঙ্গে প্রবেশের বিষয়টি এখন ছোট স্যাটেলাইটগুলোর জন্য বাস্তবতা।”
ইলেকট্রন
রকেটে ‘ড্র্যাগ সেইল’ নামের প্রযুক্তিও রয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরানো অকেজো
স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে টেনে আনা হবে। বায়ুমণ্ডলে এগুলো ধ্বংস হয়ে কক্ষপথের
আবর্জনা কমাবে।
রকেট
ল্যাবের রকেটের ক্ষেত্রে স্পেসএক্স এবং ব্লু অরিজিনের মতো কোনো ল্যান্ডিং ব্যবস্থা
নেই। তবে, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন সূত্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইলেকট্রন রকেটে ৩ডি
প্রিন্টেড ইঞ্জিন এবং ব্যাটারিচালিত ফিউয়েল পাম্প ব্যবহার করা হয়েছে।
ডিসেম্বরে
ইলেকট্রন রকেটে করে নাসা’র ইলানা ১৯ মিশনের ১০টি কিউবস্যাট পাঠানোর কথা রয়েছে রকেট
ল্যাবের।
Comments
So empty here ... leave a comment!