ad720-90

ফাইন্ডারের ভয়েস ট্র্যাকিং ডিভাইসে ছাড়


মোটর সাইকেল, যে কোনো ধরনের গাড়ি ও জলযান ঠিক কোথায় অবস্থান করছে তাৎক্ষণিকভাবে সে তথ্য দেয় ফাইন্ডার। জিপিএস ও জিপিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ভেহিকল ট্র্যাকিং সার্ভিস কাজ করে থাকে।

এ প্রযুক্তিতে যানবাহনে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস ইনস্টল করা থাকে। এই ডিভাইস থেকে জিপিএস ব্যবহার করে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের তথ্য সংগ্রহ করে ইন্টারনেটযুক্ত সিম-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব সার্ভারে তথ্য পাঠানো হয়। এই তথ্য পৌঁছে যায় গ্রাহকের মোবাইল ফোনেও।

ফাইন্ডারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট, অ্যাপ, এসএমএস পুশ পুল সার্ভিস বা ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে গ্রাহক যে কোনো পরিস্থিতিতেই জানতে পারবেন গাড়ির অবস্থান, গতি, অতিক্রান্ত দূরত্ব, গতিপথসহ আরও নানা তথ্য। সেইসঙ্গে গ্রাহকরা গাড়ির ভেতরের সব কথাও শুনতে পারবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

“এমনকি এই প্রযুক্তিতে গ্রাহকরা যে কোনো মূহুর্তে তাদের গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করার সুবিধা পাবেন।”

আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড উভয় প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারযোগ্য এই অ্যাপটিতে জিওফেন্স সুবিধা রয়েছে। জিওফেন্স হচ্ছে ভার্চুয়ালি একটি ভৌগলিক সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া। গাড়ি ওই সীমানা থেকে বের হলেই তাৎক্ষণিকভাবে নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে।

২০০৯ সালে বাজারে আসা ফাইন্ডার অ্যাপের মালিক প্রতিষ্ঠান মনিকো টেকনোলজি’র পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাখাওয়াত সোবহান বলেন, “প্রথম দিকে আমাদের গ্রাহকদের এই সার্ভিস সম্পর্কে বোঝাতে বেশ বেগ পেতে হলেও এখন তারা অনেক ওয়াকিবহাল।”

গাড়ি, মাইক্রোবাস, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাকের জন্য এই ডিভাইসের দাম পড়বে সাড়ে সাত হাজার টাকা, সেই সঙ্গে গুণতে হবে মাসিক চারশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকা সার্ভিস চার্জ। মোটর সাইকেল সিএনজিচালিত অটোরিক্সা-র ক্ষেত্রে ডিভাইসের দাম সাড়ে ছয় হাজার টাকা আর মাসিক সার্ভিস চার্জ চারশ’ টাকা। এছাড়াও পোর্টএবল ট্র্যাকিং ডিভাইস-এর দাম পড়বে পাঁচ হাজার টাকা ও এর মাসিক সার্ভিস চার্জ চারশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকা।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar