ad720-90

অনলাইনে সুরক্ষিত থাকার ৫ উপায়


অনেকেই আছেন—ফেসবুক বলতে পাগল। যা পান, তা–ই ফেসবুক বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। কিন্তু এর প্রভাব আঁচ করতে পারেন না। যাঁরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোনো কিছু বিবেচনা না করেই পোস্ট দেন, তাঁদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কারণ, মনে রাখতে হবে, অনলাইনে কোনো কিছুই নিরাপদ নয়। ওত পেতে আছে সাইবার দুর্বৃত্তরা।

আপনার পোস্ট বিশ্লেষণ করে ভয়াবহ ক্ষতি করে বসতে পারে দুর্বৃত্তরা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিজের সচেতনতা ছাড়া অনলাইনে কোনো কিছু পোস্ট করার পর তা নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি কঠিন। তবে অনলাইনে নিরাপদ থাকতে কয়েকটি পদক্ষেপ আপনারা নিতে পারেন। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি সম্প্রতি কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে। জেনে নিন সেগুলো:

প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি সেটিংস
ম্যাকাফির পরামর্শ হচ্ছে, অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোয় যতটা সম্ভব প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা সেটিংস দিয়ে রাখুন। ফেসবুক বা অন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যদি পাবলিক করে রাখেন, তবে সবাই তা দেখতে পাবে। তাই একে প্রাইভেট করে রাখলে কিছুটা আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। নিরাপত্তা আরেকটু বাড়াতে অ্যাপ সেটিংসে গিয়ে কোন কোন অ্যাপ্লিকেশন আপনার লোকেশন বা অবস্থানগত তথ্য শেয়ার করতে পারবে, তা ঠিক করে দিন। তা না হলে আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, সব তথ্যই আপনি সবার জন্য খোলা রেখে দিচ্ছেন। এতে সাইবার দুর্বৃত্তরা চাইলে সহজেই আপনার ওপর নজরদারি করতে পারবে।

আলাদা স্ক্রিন নাম ব্যবহার
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে প্রকৃত নামের পরিবর্তে পৃথক স্ক্রিন নাম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে ম্যাকাফি। গুগলে যাতে সহজে সার্চ করেই আপনার নাম না পেতে পারে, সে লক্ষ্যে পৃথক স্ক্রিন নাম ব্যবহার করা ভালো। আপনাকে যাতে অনলাইনে সহজে খুঁজে বের করা না যায়, সে লক্ষ্যে প্রকৃত নাম ঘুরিয়েফিরিয়ে ব্যবহার করলে গুগল সার্চে আপনার সব সামাজিক যোগাযোগের প্রোফাইল একসঙ্গে দেখাবে না।

পোস্টের আগে ভাবুন
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কী পোস্ট করছেন, তা দ্বিতীয়বার ভাবুন। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার আগে বন্ধুকে ট্যাগ করা বা লোকেশন দেওয়ার আগেও কোনটি ব্যক্তিগত আর কোনটি সবার জন্য, তা ভেবে নিন। থার্ড পার্টি যাতে আপনার তথ্য ব্যবহার করে সুবিধা নিতে না পারে বা আপনার অবস্থানগত তথ্য জানাজানি যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু
অনলাইনের নিরাপত্তায় টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন। মনে রাখবেন, অনলাইনের অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তায় আরেক স্তরের সুরক্ষা দিতে পারে এ পদ্ধতি।

ক্লাউড ব্যবহারে সতর্কতা
অনেকেই এখন ক্লাউডে নানা তথ্য রাখেন। যাঁরা ক্লাউডে তথ্য রাখেন, তাঁরা বাড়তি নিরাপত্তা নিতে ভুলবেন না। টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা যুক্ত করে ক্লাউডের অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখুন। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar