ad720-90

উদ্ভাবনী কোম্পানির শীর্ষস্থান হারাল অ্যাপল


অ্যাপলবিশ্বের শীর্ষ উদ্ভাবনী কোম্পানি ও তাদের তৈরি পণ্যের নাম বলতে গেলে অ্যাপল ও আইফোনের কথা বলেন অনেকেই। তবে গত বছর থেকে আইফোনের ক্ষেত্রে কিছু যন্ত্রাংশের বদল ছাড়া উদ্ভাবনী কিছু দেখাতে পারেনি অ্যাপল। তাই এক বছরের মধ্যে সেরা উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান থেকে তালিকায় পেছনের দিকে চলে গেছে অ্যাপল। বিজনেস ম্যাগাজিন ফাস্ট কোম্পানি বিশ্বের শীর্ষ ৫০টি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ বছরের সেই তালিকায় অ্যাপলের স্থান হয়েছে ১৭ নম্বরে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রের উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে প্রতিবছর শীর্ষ ৫০ টি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে ফাস্ট কোম্পানি। এবারের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে চীনের টেক প্ল্যাটফর্ম মেইতুয়ান ডিয়ানপিং। খাবার, হোটেল বুকিং, মুভি টিকিটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবা দিতে কাজ করে এ প্ল্যাটফর্মটি।

ফাস্ট কোম্পানির ভাষ্য, ২০১৮ সালে ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হওয়া অ্যাপলের উদ্ভাবনী পণ্য ছিল এ১২ বায়োনিক চিপসেট। এ ক্ষেত্রে আইফোন বা আইপ্যাডকে তারা উদ্ভাবনী পণ্য হিসেবে ধরেনি। ৭ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির ওই প্রসেসর এ ধরনের প্রথম প্রসেসর হিসেবে আইফোনের সঙ্গে এসেছিল। এ১২ এর ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ট্রানজিস্টর একে কমশক্তিতে দ্রুতগতির পারফরম্যান্স দিতে সাহায্য করে। এআই, এআর ও ভালো মানের ছবি তোলার ক্ষেত্রেও সহায়তা করে। এর বাইরে এয়ারপড, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি ও আইফোন এক্সের মতো পণ্যগুলো অ্যাপলকে উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে রেখেছিল।

এ বছর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কোয়ার, টুইচ, শপিফাই, পেলোটন, আলীবাবা ও ট্রুপিক অ্যাপলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

ফাস্ট কোম্পানির জ্যেষ্ঠ সম্পাদক এমি ফারলে বলেছেন, নতুন ডিভাইসে আশানুরূপ কিছু দেখাতে পারেনি অ্যাপল। তাদের হার্ডওয়্যার ভালো বিক্রিও হয়নি।

আইফোনের দাম ও এর ব্যাটারি নিয়ে অনেকেই হতাশ হওয়ার কারণে আইফোনের চাহিদা কমতে দেখা গেছে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ২০১৯ সালের নতুন আইফোনের ক্ষেত্রেও খুব বেশি নতুন উদ্ভাবন থাকছে না। এর সঙ্গে বাড়তি দাম যুক্ত হলে আইফোন থেকে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেবে। উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপল অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar