ad720-90

ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা ঢাকায়


ফাইল ছবিবঙ্গ-নিউজঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পৌঁছেছেন সিঙ্গাপুরের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় পৌঁছেছেন।

রোববার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। এরপর গুরুতর অসুস্থ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে দেখতে হাসপতাালে যান এ দুই চিকিৎসক।

আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসেছেন।

বিএসএমএমইউ সূত্র জানিয়েছে, ওই দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ওবায়দুল কাদেরকে পর্যবেক্ষণের পর যদি তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেসে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন; তবে তাকে সেখানে নিতে অনুমতি দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রোববার সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চোখ খুলেছেন; তবে তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।

সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে হাসাপতালে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান বিএসএমএমইউর উপাচার্য নিউরো সার্জন অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া।

তিনি জানান, ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। তার অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি চোখ খুলেছেন। এখন অবস্থা বুঝে পরীক্ষা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দলের ঢাকায় আসার কথা জানিয়ে কনক কান্তি বড়ুয়া তখন জানান, এ মুহূর্তে তাকে স্থানান্তর সম্ভব নয়। তবে তারা আসার পর যদি মনে করেন; তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউর কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী আহসান বলেন, আমি আগেও বলেছি, ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না। এখনো উনি ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন। এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।

সেতুমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের সমকালকে জানান, রোববার ফজরের নামাজ শেষে হঠাৎ করেই তার শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার শরীর চেকআপ করেন। পরামর্শ দেন দ্রুত এনজিওগ্রাম করার। পরে তার এনজিওগ্রাম করা হয়।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য দুপুরে জানান, সকাল পৌনে আটটার দিকে ওবায়দুল কাদের শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তখনই তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে এনজিওগ্রাম করে দেখা যায়, তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক। একটিতে স্টেন্টিং করে দেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের কার্ডিওলজির অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান এক ব্রিফিংয়ে জানান, সেতুমন্ত্রীর তিনটি রক্তনালীতে ব্লক ধরা পড়েছে। তার মধ্যে একটি স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে।

দুপুরের ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘উনার অবস্থা ওঠানামার মধ্যে আছে। দোয়া করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। যেহেতু উনি ভেন্টিলেশনে আছেন, সেহেতু উনি জীবনশঙ্কায় আছেন বলতে পারেন।’

সকাল থেকে হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরকে দেখার জন্য ভিড় করে আছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে গিয়ে তাকে দেখে এসেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে পৌঁছে ডি ব্লকের দোতলায় কার্ডিওলজি বিভাগে যান রাষ্ট্রপতি। এর আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে যান। রাষ্ট্রপতির কয়েক মিনিট পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও হাসপাতালে পৌঁছান।

দলের সাধারণ সম্পাদকের সুস্থতার জন্য দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া কামনা করেছে আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ সময়: ২১:১২:০৬   ১২ বার পঠিত   #  #  #  #  #  #  #  #  #  #  #





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar