ad720-90

মঙ্গলে মিনি হেলিকপ্টারের জন্য সফল পরীক্ষা নাসার


এর আগে অন্যান্য গ্রহে অনুসন্ধান চালানোর জন্য মাটিতে রোভার ব্যবহারই ছিল একমাত্র পথ। এবার ড্রোনের মতো উডুক্কুযানগুলোতেও নজর দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি– খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের।

ক্ষুদ্র এই হেলিকপ্টারটির ওজন মাত্র ১.৮ কেজি। প্যাসাডিনা, ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরিতে একটি বায়ুশূন্য চেম্বারের মধ্য দিয়ে হেলিকপ্টারটি নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

কোটি কোটি মাইল দূর থেকে হেলিকপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলের পাতলা বায়ুমণ্ডল এবং রাতে বরফ শীতল তাপমাত্রায় পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে।

লাল গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের প্রতিরূপ বানাতে কার্বন ডাই অক্সাইডের জন্য নাসা’র বায়ুশূন্য চেম্বারটিতে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন এবং অন্যান্য গ্যাস বারবার বদলানো হয়েছে। আর মধ্যাকর্ষণ বলও সেই মোতাবেক ঠিক করা হয়েছে।

মার্স হেলিকপ্টার প্রকল্পের পরীক্ষক টেডি জ্যানেটস বলেন, “এখানে বাধাগুলোর একমাত্র অংশ ছিল হেলিকপ্টারটিকে অত্যন্ত পাতলা বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে নেওয়া।”

“মঙ্গলে হেলিকপ্টার ওড়ানোটা আসলেই সিমুলেট করতে আমাদেরকে পৃথিবীর দুই- তৃতীয়াংশ মধ্যাকর্ষণ বল কমাতে হয়েছে, কারণ সেখানে মধ্যাকর্ষণ বল এমনটাই।”

২০২০ সালের জুলাই মাসে মার্স ২০২০ রোভারের সঙ্গে হেলিকপ্টারটি পাঠানো হবে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এটি মঙ্গলে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরের মাস থেকে এটি ওড়ানোর কাজ শুরু হবে।

মার্স হেলিকপ্টারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিমি অং বলেন, “পরবর্তীতে আমরা যখন এটি ওড়াবো, সেটি হবে মঙ্গল গ্রহে।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar