ক্যান্সারের স্ক্যান ছবি বদলালো কম্পিউটার ভাইরাস
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ল্যাব পরীক্ষায় ৭০টি স্ক্যানড ছবি বদলাতে পেরেছে ভাইরাসটি। আর এই ছবি দেখে তিন জন রেডিওলজিস্টও ধারণা করেছেন রোগীর ক্যান্সার রয়েছে।
পরিবর্তিত ছবি স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিনিং ব্যবস্থাকেও বোকা বানিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কম্পিউটারের এই ভাইরাসটি বানিয়েছে ইসরায়েলের এক গবেষক দল। ডায়াগনস্টিক যন্ত্রাংশগুলোর নিরাপত্তা কতো সহজে ভাঙ্গা যায় তা দেখাতেই ভাইরাসটি বানানো হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি।
এমআরআই এবং সিটি স্ক্যানিং মেশিনের মাধ্যমে তোলা ফুসফুসের ছবিতে বিশ্বাসযোগ্যভাবে কিছু ক্ষতিকর অংশ জুড়ে দেয় প্রোগ্রামটি, ফলে ছবিটি ক্যান্সারাক্রান্ত টিসুর মতো দেখায়।
বেন গুরিওন ইউনিভার্সিটির সাইবার নিরাপত্তা কেন্দ্রের গবেষক দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ম্যালওয়্যারটি বাস্তবে ক্যান্সারের অনুষঙ্গ রয়েছে এমন ছবি থেকে ক্ষতিকর অংশগুলো বাদও দিতে পারে, যাতে রোগী তার জরুরী চিকিৎসা না পান।
ফুসফুসের স্ক্যানড ছবিকে লক্ষ্য করা হলেও ম্যালওয়্যারটি মস্তিষ্কে টিউমার, রক্ত জমাট, মচকানো বা মেরুদণ্ডের সমস্যার ক্ষেত্রেও ফলাফল বদলাতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
গবেষকদের দাবি, ছবি এবং স্ক্যান পরিবর্তনযোগ্য কারণ এগুলো এনক্রিপ্টেড নয় এবং এতে কোনো ডিজিটাল স্বাক্ষর নেই। ফলে যেকোনো পরিবর্তন সহজে শনাক্তও করা যাবে না।
এই ত্রুটি ব্যবহার করে, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের অপারগতা, গবেষণায় বিবাদ বাঁধানো, বীমা জালিয়াতি বা সন্ত্রাসী হামলা করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। আর হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো তাদের নেটওয়ার্ক সুরক্ষায় দুর্বল হওয়ায় সাইবার হামলাকারীরা সহজে এটির সুযোগ নিতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।
হাসপাতালগুলো তাদের কাঠামোর বাইরে সংবেদনশীল ডেটা শেয়ার করার ব্যাপারে যত্নশীল হলেও অভ্যন্তরীনভাবে তারা ততোটা সতর্ক নন।
এনক্রিপশন এবং ডিজিটাল স্বাক্ষর ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারলে হাসপাতালগুলো সাইবার হামলাকারীর থেকে রক্ষা পাবে বলে জানিয়েছেন এক গবেষক।
সাইবার হামলাকারীদের কাছে পছন্দের লক্ষ্য হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা সংস্থাগুলো। এর আগে অনেক হাসপাতালে ক্ষতিকর র্যানসমওয়্যার দিয়ে ফাইল সংকেতায়িত করার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী হাসপাতাল মূল্য দিয়েই কেবল ডেটা ফেরত পেয়েছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!