ad720-90

উদ্যোগী হবেন না চাকুরীজীবি?


শিক্ষা,বেকারত্ব,হতাশা তিনটি শব্দ বর্তমান যুব সমাজের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। বিশ্বায়নের এই যুগেও আমাদের দেশের বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমাদের দেশের বেকার যুব সমাজের একটা বড় অংশ শিক্ষিত গ্র্যাজুয়েট।কিন্তু কখন ও খেয়াল করে দেখেছেন কি আপনি যখন ২৪/২৫ বছর বয়সে পড়াশোনা শেষ করে চাকরী নামক সোনার হরিণের পেছনে দৌড়াচ্ছেন,ততদিনে আপনার বন্ধুটি বা আপনার পাশের বাসার ছোট ভাই নিজে উদ্যোক্তা হয়ে তার ছোট খাট বিজনেস দাড় করিয়ে ফেলেছে! আর একটি আশানুরুপ চাকরী পেতে পেতে তার অধীনে হয়ত ২/১ জন কাজ ও করছে! কখন ও কারো কারো ক্ষেত্রে সেই আশানুরুপ চাকরী টিও পাওয়া হয়ে উঠে না।এখনি সময় শুধুমাত্র একটি চাকরির জন্য ২৪ বছর অপেক্ষা না করে নিজে শুরু করুন।

উদ্যোগী হবেন না চাকুরীজীবি?

অনেকেই এই ব্যাপার টা নিয়ে সিধান্তহীন্তায় ভূগেন। চাকুরী টা বেশি রিল্যাএবল বা কম রিস্কি মনে করে থাকেন।এটা সম্পূর্ণ ভূল ধারণা বলে আমি মনে করি।আপনার কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করবে আপমি কতটা আগাবেন,কাজের ক্ষেত্র এর উপর নয়। আপনি কি চান সেটা শুধুমাত্রই আপনার উপর নির্ভর করে। যদি আপনার চিন্তা ভাবনা থাকে আপনি একটা নির্দষ্ট টাইমিং এর মধ্যে থাকবেন,একটা নির্দিষ্ট রেগুলারিটি মেনটেইন করে চলতে পছন্দ করেন,নির্দিষ্ট গন্ডির ভেতর থাকতে চান তাহলে আপনার চাকুরী বেছে নেয়া উচিত।আবার আপনি যদি মিজের মত করে কিছু করতে চান ,অন্যের অধীনে কাজ করতে পছন্দ না করেন সেক্ষত্রে আপনার উদ্যোক্তা হবার রাস্তা বেছে নেয়া উচিত।

কেনো হবেন উদ্যোক্তা?

প্রথমত উদ্যোক্তা হতে কোন নির্দিষ্ট সময় ,বয়স বা ডিগ্রী লাগবে না।লাগবে আপনার কাজের ইচ্ছে, পরিশ্রম, দক্ষতা আর সাহস।এমনকি পড়াশোনার পাশাপাশি ও শুরু করতে পারেন নিজের ছোটখাট কোন ব্যবসা।সেজন্য যে আপনার বড় এমাউন্টের পূজি বা জনবল দরকার তাও নয়।একদম ঘরোয়া ভাবে,অল্প পূজিতে, ছোট পরিসরে শুরু করে দিতে পারেন এখনি।এমনকি অনেকেই আজকাল পড়াশোনার পাশাপাশি এরকম ছোটখাট ব্যাবসা করে থকেন।দেখা যাবে আপনার বন্ধুরা যখন পড়াশোনা শেষ করে চাকুরী খুজছে ততদিনে আপনার একটা নিজস্ব পরিচয় আছে।এমনকি আপনি নিজে উদ্যোগী হইয়ে কর্মসংস্থানের সুজোগ সৃ্ষ্টি করতে পারেন।

উদ্যোক্তা হবার আরেকটি সুবিধাজনক দিক হচ্ছে কাজগুলো নিজের সময় মত করা যায়।নির্দিষ্ট কোণ ধরাবাধা টাইমিং নেই।

কিভাবে শুরু করবেন?

প্রায়শই অনেককে বলতে শোনা যায় “নিজে কিছু একটা করার কথা ভাবছি অনেক দিন ধরেই,কিভাবে কোথা থেকে শুরু করব বুঝতে পারছি না’’।সেক্ষেত্রে আপনি এটা নিশ্চিত হোন যে আপনি ঠিক কি করতে চান বা কোন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে চান।তারপর আপনি আপনার সেই বাছাইকৃত ক্ষেত্রটি সম্পর্কে কতটুকু জানেন,কি জানেন সেটা বের করুন।আর যা জানেন না বা আপনার প্রশ্নগুলো নিয়ে একটু রিসার্চ করুন,জানার চেষ্টা করুন।অর্থাৎ আপনার পছন্দের ক্ষেত্রটিতে দক্ষতা অর্জন করুন ।তাছাড়াও ইউটিউব,গুগোল বা আপনার পরিচিত সিনিয়র জুনিয়র যারা নিজ উদ্যোগে কিছু করছেন তাদের থেকেও পরামর্শ নিতে পারেন।শুধুমাত্র না ভেবে যা করার এখনি শুরু করুন।

কোন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবেন?

কোন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার।ধরুন আপনি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করেন বা শখের বসেই ফটোগ্রাফি করেন এবং বন্ধুমহলে বেশ প্রশ্নগসাও পেয়ে থাকেন।সেক্ষেত্র আপনি ফটোগ্রাফি নিয়েই আগাতে পারেন।বা আপনি যদি খুব সুন্দর ডেকোরেট করতে পারেন আপনি সেটা নিয়েও আগাতে পারেন।খুলে ফেলতে পারেন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।বা দেখা গেলো আপনি ভালো আকিবুকি করতে পারেন তাহলে আপনি সেটা নিয়েও আগাতে পারেন।কাজের অগণিত ক্ষেত্র আছে,আপনাকে আপনার স্কিল টা খুজে বের করতে হবে।

সবশেষে বলব আপনার সাফল্যের মাপকাঠি আপনি ঠিক করবেন।পাশের বাসার জুনিয়র,ভার্সিটির সিনিয়র বা পরিচিত ,তাদের কাছ থেকে আপনি পরামর্শ নিতে পারবেন কিন্তু আপনি কি করবেন সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে।অন্য কেউ একজন যে পথে সফল আপনিমসেই পথে হাটলেই যে সফল হতে পারবেন তা কিন্তু না।যাই করুন না কেনো দক্ষতা এবং ধৈর্য নিয়ে করুন।

সাজ্জাতুল ইয়াকিন কসমিক

সি ই ও

সফটকেয়ার আইটি





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar