ad720-90

প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা নয় সম্পদ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী


লাস্টনিউজবিডি,২৩ জুন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রতিবন্ধীদের কে দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, প্রতিবন্ধী ভাই-বোনেরা অক্ষম নন বিশেষভাবে সক্ষম। প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা নয় সম্পদ।

আজ গ্রীন রোডে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় এর যৌথ উদ্যোগে “যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা-২০১৯” এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা বিশেষভাবে সক্ষম তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি সক্ষমদেরকে বিশেষ ভাবে অক্ষমদের প্রতি আরও সচেতন ও যত্নবান হওয়ার হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

পলক বলেন, আগে সমাজে প্রতিবন্ধীদের যে দৃষ্টিতে দেখা হতো সেই সুযোগ এখন আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এর নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে এদেশের মানুষ সচেতন হয়েছে।প্রতিবন্ধীদের অধিকার অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালে “প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন ” প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সমাজে তাদের অধিকার নিশ্চিত এ আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারাও ঘরে বসে নেই। নিজ নিজ মেধা ও সামর্থ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবদান রেখে চলেছেন।

তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অনলাইন জব পোর্টাল করা হবে। তারা যেন অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদান বিশেষ করে যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারেন এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এবং নিতে পারেন। যেখান থেকে যেকোন স্থানের চাকরিপ্রার্থীর সাথে চাকরিদাতার যোগাযোগ হবে।

প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান পলক। তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রায় ৩ হাজার প্রতিবন্ধী তরুণ তরুণীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন আগামী পাঁচ বছরে আইসিটি খাতে ১০ লাখ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে যার অন্তত ১ শতাংশ হবে প্রতিবন্ধীরা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বিসিসি এর নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব সহ আইসিটি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণ বক্তৃতা করেন।

এরপর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আইটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে চারটি ক্যাটাগরিতে তিন জন করে মোট ১২ জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগে বগুড়ার সহদেব কুমার, সিলেটের জয়দ্বীন রায় এবং বরিশালের জহিদুল ইসলাম; শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্যাটাগরিতে বরিশালের সাজ্জাদুল ইসলাম স্বাধীন, ইয়ামিন হোসেন আমিন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সজীব আলী; বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিভাগে কুষ্টিয়ার নাজমুস সাইফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং ঢাকার ফারহান ইকবাল এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী বিভাগে ঢাকার রিশতা গালিব, ফেনীর রাফিউল ইসলাম এবং ঢাকার আশিকুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ ক্যাটাগরিতে আরও দুই জন প্রতিযোগীকে পুরষ্কৃত করা হয়।

প্রসঙ্গত,২০১৬ সালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে দিনব্যাপী এমন জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা প্রথ্ম মতো আয়োজিত হয়। চলতি বছর এটির চতুর্থ আসর সমাপ্ত হল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

লাস্টনিউজবিডি/আনিছ

সর্বশেষ সংবাদ



সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar