ad720-90

চিরনিদ্রায় কম্পিউটার পাসওয়ার্ডের জনক


ডায়াবেটিস জটিলতার কারণেই করবেটোর মৃত্যু হয়েছে বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

একের অধিক গ্রাহক যাতে একসঙ্গে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন সেই প্রক্রিয়া বানানোর সময় নিরাপত্তার মৌলিক বিষয়গুলোও সামনে এনেছেন করবেটো।

‘টাইম-শেয়ারিং’ নামের একটি কৌশল বানিয়েছেন তিনি। এই কৌশলে কম্পিউটারের কার্যকরি ক্ষমতা ভাগ করা হয় যাতে একসঙ্গে একের অধিক ব্যক্তি এতে কাজ করতে পারেন।

কম্পিউটার শেয়ারিং প্রযুক্তি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)-তে বানিয়েছেন করবেটো। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়ই এমআইটি-তে কেটেছে তার।

পদার্থ বিজ্ঞানে ডক্টরেট করতে ১৯৫০ সালে এমআইটিতে যোগ দেন করবেটো। কিন্তু সেসময় তিনি বুঝতে পারেন পাঠ্য বিষয়ের চেয়ে পদার্থবিদরা গণনার কাজে যে যন্ত্র ব্যবহার করেন তাতেই বেশি আগ্রহ তার।

পঞ্চাশের দশকে কম্পিউটারের ব্যবহার ছিলো এক কঠিন পরীক্ষা। মোনোলিথিক এই মেশিনগুলো একসঙ্গে শুধু একটি কাজই করতে পারতো।

এই সীমাবদ্ধতা পেরোতে কম্পাটিবল টাইম-শেয়ারিং সিস্টেম (সিটিএসএস) নামে একটি অপারেটিং সিস্টেম বানান করবেটো।

একটি কম্পিউটারকে একজনের জন্য বরাদ্ধ না রেখে সিটিএসএস কম্পিউটারের প্রসেসিং ক্ষমতা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত করতো যাতে এটি অনেক মানুষের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকেও কম্পিউটার এতোটা দ্রুত গতির ছিলো যে কোনো ব্যবহারকারি লক্ষ্য করেননি যে তারা কম্পিউটারের প্রসেসিং ক্ষমতার ক্ষুদ্র একটি অংশ ব্যবহার করছেন।

সিটিএসএস-এর উন্নয়নের ফলে মাল্টিকস নামে আরেকটি টাইম-শেয়ারিং প্রোগ্রাম আসে। পরে এর থেকে বানানো হয়েছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমসহ আরও অনেক প্রোগ্রাম।

সিটিএসএস-এ পাসওয়ার্ড আনা হয় যাতে একসঙ্গে একই মেশিনে কাজ করা গ্রাহকরা একে অপরের থেকে ফাইল এবং প্রোগ্রাম লুকিয়ে রাখতে পারেন।

২০১২ সালে এক সাক্ষাৎকারে করবেটো বলেন, “প্রতিজন আলাদা গ্রাহকের জন্য লকিং ব্যবস্থা হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার একটি সাদাসিধে সমাধান।”

টাইম-শেয়ারিং ব্যবস্থায় অনবদ্য কাজের জন্য ১৯৯০ সালে এএম টিউরিং অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় করবেটোকে। কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের জন্য এটিই সর্বোচ্চ সম্মানের পুরস্কার।

এমআইটি’র মিডিয়া ল্যাবের অধ্যাপক ফ্যাডেল আডিব তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “তার গবেষণা এবং উত্তরসূরী ছাড়া আমাদের পৃথিবীটা হয়তো অনেক ভিন্ন হতো। তিনি তার কাজের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar