বয়স নিয়ে বৈষম্য করছে আইবিএম
কর্মীর বয়স বেশি হয়ে গেলেই তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার মতো বৈষম্য বেড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ১০৮ বছরের পুরোনো ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনসের (আইবিএম) মতো প্রতিষ্ঠানে গত পাঁচ বছরে এ বৈষম্য বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রতিষ্ঠানটিকে আধুনিক যুগের সঙ্গে মানানসই দেখাতে এক লাখের বেশি কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মী বয়স নিয়ে বৈষম্য করার আইবিএমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, গুগল ও আমাজনের মতো মিলেনিয়ালসদের মতো হালনাগাদ দেখাতে বয়স্ক কর্মীদের তাড়িয়ে দিয়েছে আইবিএম। আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্য রেজিস্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইবিএমের সাবেক বিক্রয়কর্মী জোনাথান ল্যাংলি অভিযোগ করেছেন পাঁচ বছর ধরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ কর্মীকে তাড়িয়ে সেখানে তরুণদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাজন, মাইক্রোসফট, গুগল ও ফেসবুকের মতো দেখাতেই তারা এ বৈষম্য করছে।
৬১ বছর বয়সী ল্যাংলি অভিযোগ করে বলেন, অন্যায্যভাবে পুরোনো সক্ষম সব কর্মীর জায়গায় তথাকথিত তরুণদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ১০৮ বছরের আইবিএমের ইতিহাসে কখনো এ রকম বয়সবৈষম্য করা হয়নি।
আইবিএমের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর আইবিএম ৫০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেয়। তাঁদের প্রশিক্ষণে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করে। প্রতিদিন কোম্পানিটি আট হাজারের বেশি চাকরির আবেদন পায়। এখন পর্যন্ত চাকরির আবেদন পাওয়ার হারের দিক থেকে যা সর্বোচ্চ। আইবিএমের ভবিষ্যৎ পথচলা ও পরিকল্পনার জন্য তা দারুণ রোমাঞ্চকর।
আইবিএম গত কয়েক বছরে তাদের বৈশ্বিক কর্মী নিয়োগের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে এক-তৃতীয়াংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে। আইবিএম হাইব্রিড ক্লাউডের বিক্রয়কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ল্যাংলি। ভালো পারফরম্যান্স সত্ত্বেও তাঁকে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়। কম বয়সী কাউকে নিয়োগ দিতেই তাঁকে ছাঁটাই করে কোম্পানি।
গত মার্চে প্রোপাবলিকা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের তদন্তে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে ৪০ বা তার বেশি বয়সী ২০ হাজারের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছে আইবিএম।
Comments
So empty here ... leave a comment!