ad720-90

বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের নিবন্ধন ২০ আগস্ট পর্যন্ত


২০১৮ সালে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে প্রথমবারের মতো অংশ নেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারই বাংলাদেশ একটি স্বর্ণপদক জয় করে। তারই ধারাবাহিকতায় এখন দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের নিবন্ধন চলছে।

অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাটাগরিতে ২০ আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। আগামী ৬-৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে।

অলিম্পিয়াডের আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক। সরকারের আইসিটি বিভাগ, বিকাশ ও রূপালী ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে মাসিক ম্যাগাজিন ‘বিজ্ঞানচিন্তা’ ও ‘কিশোর আলো’।

৬ সেপ্টেম্বর সকালে অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন সরকারের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এ বছর জাতীয় পর্বে মোট চার ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো—দলীয় পর্যায়ের ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি ও রোবট ইন মুভি। এবং একক প্রতিযোগিতা রোবট গ্যাদারিং ও রোবটিক বুদ্ধি (কুইজ প্রতিযোগিতা)।

কুইজ ছাড়া বাকি প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা ক্যাম্প ও চূড়ান্ত নির্বাচনের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাইয়ে অনুষ্ঠেয় ২১তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের দল গঠনের জন্য নির্বাচিত হবে।

২০ আগস্টের মধ্যে https://tinyurl.com/bdro2019 এই লিংকে নিবন্ধন করা যাবে। অলিম্পিয়াডের বিস্তারিত নিয়মকানুন জানা যাবে https://tinyurl.com/bdro2019booklet এই লিংকে।

প্রতিটি প্রতিযোগিতা জুনিয়র ও চ্যালেঞ্জ (সিনিয়র) দুটি ভাগে বিভক্ত থাকবে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁরা চ্যালেঞ্জ (সিনিয়র) গ্রুপে। যাদের জন্ম ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে, তারা জুনিয়র গ্রুপে অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে পারবে।

একজন প্রতিযোগী কুইজসহ সর্বোচ্চ ৩টি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে করতে পারবে। এ-সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে fb.com/bdrobotolympiad লিংকে।

বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস ও মেকাট্রনিকস বিভাগের চেয়ারপারসন ড. লাফিফা জামাল বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে ছেলেমেয়েদের রোবটিকস, আইওটি, প্রোগ্রামিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন। বিশেষ করে ছোটবেলাতেই প্রোগ্রামিং, রোবটিকসে হাতেখড়ি হলে তা শিশুদের চিন্তাশক্তি বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাদের যৌক্তিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। রোবট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিশুরা নিজেদের আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করতে পারে।

থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের ফলাফলের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে পারবেন বলে আশা করেন লাফিফা জামাল।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar