ad720-90

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির প্রভাব নিয়ে মামলায় অ্যাপল, স্যামসাং


নরদার্ন ডিসট্রিক্ট অফ ক্যালিফোর্নিয়ার মার্কিন ডিসট্রিক্ট কোর্টে মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, অ্যাপল এবং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন “ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)-এর বৈধ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সীমা পার করছে।”

‘ক্লাস-অ্যাকশন’ হল এমন এক মামলা যেখানে বাদীপক্ষ একজন হলেও তিনি একই ধরনের ঘটনার শিকার অনেকের প্রতিনিধিত্ব করেন ও মামলার রায় ভুক্তভোগী সবার জন্যই প্রযোজ্য হয়।

আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলায় আইফোন ৭ প্লাস, আইফোন ৮, আইফোন X এবং স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস৮ ও গ্যালাক্সি নোট ৮-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

শিকাগো ট্রিবিউনের ভিন্ন এক তদন্তে দেখা গেছে, “আইফোন ৭ থেকে যে পরিমাণ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বের হয় তা নিরাপদ সীমার চেয়ে অনেক বেশি এবং অ্যাপল নিজেদের পরীক্ষার পর ফেডারেল নীতিনির্ধারকদের কাছে যে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি থাকার দাবি করেছে তার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।”

মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, “সাম্প্রতিক সময়ে শত শত বিজ্ঞানীর বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় বলে হয়েছে আরএফ রেডিয়েশন জীবের  ওপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে যা আন্তর্জাতিক এবং রাষ্ট্রীয় নীতিমালার বাইরে।”

“এর প্রভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকিসহ বেশ কিছু শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।”

সেলফোনের সর্বোচ্চ স্পেসিফিক অ্যাবজর্পশন রেট (সার) নিয়ে কিছু দ্বিধাও রয়েছে। এফসিসি’র নীতিমালা অনুসারে মোবাইল ফোন বা অন্যান্য উৎস থেকে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি মানব দেহে আসে তাকে বলা হয় সার।

এফসিসি বলছে, “অনেকের ভুল ধারণা আছে যে কম সার ইউনিটের সেলফোন ব্যবহারে আরএফ নির্গমন কম হয় বা এগুলো বেশি নিরাপদ।”

এফসিসি’র নীতিমালা অনুসারে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির ক্ষেত্রে গড়ে এক গ্রাম টিস্যুতে প্রতি কেজিতে ১.৬ ওয়াটে নিরাপত্তা সীমা দেওয়া হয়েছে।

আগে আইফোনে স্পেসিফিক অ্যাবজরপশন রেটের তথ্য জানাতো অ্যাপল। আইফোন ৭ থেকে এই তথ্য দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করা হয়েছে।

অন্যদিকে অ্যাপলের দাবি “আইফোন ৭সহ সব আইফোন মডেল পুরোপুরিভাবে এফসিসি অনুমোদিত এবং অন্যান্য যেসব দেশে যেখানে আইফোন বিক্রি হয় সেখানেও নীতিমালা মেনে তৈরি।”

বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি স্যামসাং।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar