ad720-90

মার্কিন অর্থনীতির ১০ শতাংশ আসছে ইন্টারনেট সেক্টর থেকে


ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রতি ১০ ডলারে এক ডলার আসছে ইন্টারনেট সেক্টর থেকে, যা প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার– খবর রয়টার্সের।

দ্রুত বেড়ে ওঠা এই সেক্টর বর্তমানে রিয়েল এস্টেট, সরকার এবং উৎপাদনমুখী শিল্পের পর চতুর্থ অবস্থানেই রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এই হিসাব এমন একটি সময়ে প্রকাশ পেল যখন নিরপত্তা, গোপনতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ফেইসবুক, অ্যামাজন, গুগলসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট জায়ান্ট তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে মার্কিন বিচার বিভাগ।

ছোট-বড় সব ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করে এই ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালের একাধিক সূত্রের আলোকে ওই হিসাব দিয়েছে। ওই হিসাবেই দেখা গেছে উৎপাদন শিল্প থেকে গত বছর মার্কিন অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে দুই লাখ তিরিশ হাজার কোটি ডলার।

পাঁচ বছর আগেও মার্কিন অর্থনীতিতে ইন্টারনেট সেক্টরের অবদান ছিল ৯৬ হাজার ৬২০ কোটি মার্কিন ডলার। সে সময় এটা ছিল জিডিপি’র ছয় শতাংশ।

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও দেখানো হয়েছে মার্কিন শ্রম বাজারে ৬০ লাখ কর্মসংস্থান সরাসরি ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান যা মোট শ্রম বাজারের প্রায় চার শতাংশ, এবং এর পেছনে মার্কিন ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ৬৪০ কোটি মার্কিন ডলার। আরও প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ চাকুরিও পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল।

প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশন তথ্য নিয়েছে আদমশুমারি, ব্যুরো অফ ইকোনমিক অ্যানালাইসিস (বিইএ) এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্চেঞ্জ কমিশন থেকে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ক্রিস্টোফার হুটন ইন্টারনেট শিল্প সম্পর্কে বলেন, “এই সেক্টরটি অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই কর্মসস্থান তৈরী করছে”। তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে আমরা আরো সুক্ষভাবে বিশ্লেষণ চালাচ্ছি যেনো ইন্টারনেটের প্রভাবটি আমরা যতোটা সম্ভব সঠিকভাবে পেতে পারি”।

বিইএ’র অনুসন্ধানে আরো দেখা গেছে ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের গড় আয় ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ২২৩ মার্কিন ডালার। যেখানে দেশটিতে সব সেক্টর মিলে একজন কর্মীর গড় আয় ছিল ৬৮ হাজার ৫০৬ মার্কিন ডলার।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar