ad720-90

উইটসা পুরস্কার পেল বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ


উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ গ্রহণ করেছে হাইটেক পার্ক। ছবি: হাইটেক পার্কের সৌজন্যেআর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে কারেন ডেমিরচান কমপ্লেক্সে তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (ডব্লিউসিআিইটি) ২১তম আয়োজনে ‘গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ পেল বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। সম্মেলনে পাঁচটি বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সম্মাননা চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ডসও পেয়েছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির চেয়ারম্যান ইভোন চুর হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম ও পরিচালক খন্দকার আজিজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর।

তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত এই সম্মেলন শুরু হয় ৬ অক্টোবর। ওয়ার্ল্ড আইটি সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) প্রতিবছর এই সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে। বুধবার এ সম্মেলনের শেষ দিনে উইটসা ২০১৯-এর চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড বিভাগের নির্বাচক কমিটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এবং উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন হাইটেক পার্কের অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে পুরস্কৃত করে।

হাইটেক পার্কের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানজনক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই পুরস্কার পাওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিতে বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনার সুযোগ বাড়বে।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘এই অর্জন তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার স্বীকৃতি দেয়। হাইটেক পার্কের মাধ্যমে আমরা বিদেশি বিনিয়োগের পথকে সহজ করেছি। দেশে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি, আইটি বিশেষজ্ঞ তৈরিসহ শ্রমশক্তির পাশাপাশি মেধা শক্তিতে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট অব থিংস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই), রোবট নির্মাণে দেশের তরুণেরা অগ্রসর হচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘হাইটেক পার্কের এই সফলতায় আমরা গর্বিত। আমাদের এই অর্জনের কৃতিত্ব শুধু আমাদের একার নয়। দেশের তরুণ সমাজের স্বপ্নপূরণে হাইটেক পার্ক নতুন দিকের উন্মোচন করেছে। আইটি ব্যবসায় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো হাইটেক পার্কে নিজেদের পরিধি বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। তথ্যপ্রযুক্তিতে ত্বরিত গতির উন্নয়নের এই পদযাত্রা চলমান থাকবে। আমরাই হব তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান।’

২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‍উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে উচ্চ প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিতকরণ এবং বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। সারা দেশে প্রথম পর্যায়ে ২৮টি হাইটেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩টি পার্কের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং বর্তমানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২১টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar