ad720-90

‘রাশিয়ান সফটওয়্যার’ না থাকলে ডিভাইস বিক্রি ‘মানা’


ওই আইনের আওতায় পড়বে স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং স্মার্ট টেলিভিশনের মতো প্রযুক্তিপণ্যগুলো। আইন প্রবক্তাদের দাবি, রাশিয়ান প্রযুক্তির প্রচারণা চালানোর উদ্দেশ্যে এবং দেশটির জনসাধারণ যাতে নিজেদের প্রযুক্তিপণ্যগুলো আরও ‘সহজভাবে’ ব্যবহার করতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে আইনটি। — খবর বিবিসি’র।

আইনটির মানে এই নয় যে বিক্রির জন্য ‘ডিভাইসে’ শুধু রাশিয়ান সফটওয়্যারই থাকতে হবে। প্রযুক্তিপণ্যে নির্মাতাদের সফটওয়্যার থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। তবে, ওই সফটওয়্যারের পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে ‘রাশিয়ান সফটওয়্যার’ রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ান সংসদের নিম্ন কক্ষে পাশ হওয়া ওই আইনে বলা হয়েছে, কোন কোন ডিভাইস আইনের আওতায় পড়বে এবং কোন ধরনের ‘রাশিয়ান সফটওয়্যার’ প্রি-ইন্সটলড হিসেবে দেওয়া প্রয়োজন তা দেশটির সরকারই নির্ধারণ করে দেবে।

কোন কোন সফটওয়্যার প্রিইনস্টলড অবস্থায় থাকবে আইনে সেটা সরকার ঠিক করে দেওয়ার প্রস্তাবেই তৈরি হয়েছে শঙ্কা। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নজরদারি’ শঙ্কায় ‘রাশিয়ান বাজার’ থেকে সরে যেতে পারে একাধিক প্রতিষ্ঠান।

নতুন ওই আইনের পক্ষে আইনটির সহ-প্রণেতা ওলেগ নিকালায়োভ বলেছেন, জটিল কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে আগে থেকেই বেশ কিছু সফটওয়্যার দেওয়া থাকে, যেগুলোর অধিকাংশই পশ্চিমাদের তৈরি। স্বাভাবিকভাবেই, কোনো ব্যক্তি সেগুলো দেখার পর মনে করে নেন, তার জন্য ‘বিকল্প’ কোনো পথ খোলা নেই। “আমরা যদি রাশিয়ান সফটওয়্যারগুলো দিতে পারি, তাহলে তারা পছন্দ করে নেওয়ার অধিকারটি পাচ্ছেন।”  

তবে, বিষয়টিকে এতো সহজভাবে দেখছেন না রাশিয়ার নির্মাতা ও পরিবেশকরা। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের তৈরি বেশ কিছু ডিভাইসে ‘রাশিয়ান সফটওয়্যার’ দেওয়া সম্ভব হবে না। উল্টো বাজার ছেড়ে চলে যেতে পারে তারা। – এমন মন্তব্যই জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রেডিং কোম্পানিজ অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারারস অফ ইলেকট্রিকাল হাউজহোল্ড অ্যান্ড কম্পিউটার ইক্যুপমেন্ট (আরএটিইসি)।

রাশিয়া নির্মিত সফটওয়্যারগুলো ‘নজরদারি’র কাজে লাগানো হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার স্মার্টফোন বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল, দক্ষিণ কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং এবং চীনা টেক জয়ান্ট হুয়াওয়ের পণ্য।

গত পাঁচ বছরে ইন্টারনেট প্রশ্নে বেশ কিছু ‘কঠোর আইন’ প্রণয়ন করেছে রাশিয়া। ওই আইনগুলোর বদৌলতে সার্চ ইঞ্জিন থেকে নির্দিষ্ট সার্চ ফলাফল মুছে দিতে বা মেসেজিং সেবার কাছে ‘এনপিক্রপশন কি’ চাইতে পারবে দেশটি।

কয়েক সপ্তাহ আগেই ‘সভেরিন ইন্টারনেট’ নামে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে রাশিয়া। আইনটির সাহায্যে রাশিযান ওয়েবের ‘ট্রাফিক’ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন দেশটির কর্তাব্যক্তিরা। ক্রেমলিনের দাবি, আইনটি সাইবার নিরাপত্তা উন্নত করতে সাহায্য করবে। কিন্তু সমালোচকদের শঙ্কা, চীনের মতো ‘ইন্টারনেট ফায়ারওয়াল’ তৈরির ফন্দি আঁটছে রাশিয়াও।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar