ক্রিমিয়া প্রশ্নে নিজ অবস্থান জানালো অ্যাপল
“কোনো আইনের কারণে ম্যাপস বা অন্য কোনো পরিবর্তনের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক আইন এবং ওই আইন সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্র ও স্থানীয় আইনগুলো পর্যালোচনা করে থাকি। বিতর্কিত সীমানার ব্যাপারে আমাদের সেবার পদক্ষেপগুলো গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং বিষয়টি ভবিষ্যত পরিবর্তনে নিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি।” – বলেছেন অ্যাপল মুখপাত্র ট্রুডি মুলার — খবর রয়টার্সের।
অ্যাপল মুখপাত্র আরও জানান, শুধু রাশিয়াতেই ‘ম্যাপস’ অ্যাপের তথ্য পরিবর্তন করা হয়েছে। দেশটিতে কার্যকর হওয়া নতুন এক আইনের কারণে রাশিয়ান ব্যবহারকারীদের জন্য ওই পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছিল।
মুলার বলেন, “ম্যাপস এবং অন্যান্য অ্যাপল সেবা যাতে বিশ্বের যে কোনো স্থানের গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ক্রিমিয়াকে উপস্থাপন প্রসঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল অ্যাপল। ওই আলোচনার পরই বদলেছে তাদের ম্যাপস অ্যাপের তথ্য।
পরে দেশভেদে ক্রিমিয়ার ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেখানো শুরু করে অ্যাপলের ম্যাপস অ্যাপ। রাশিয়ান ব্যবহারকারীরা অ্যাপলের ‘ম্যাপস’ ব্যবহার করলে দেখতে পাচ্ছিলেন যে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ। অথচ মার্কিন একজন ব্যবহারকারীকে ম্যাপস অ্যাপটি দেখাচ্ছিল রাশিয়া বা ইউক্রেইনের অংশ নয় ক্রিমিয়া।
বিষয়টি নিয়ে ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রিস্তাইকো ‘অজ্ঞ’ আখ্যা দেন অ্যাপলকে। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, “আইফোন খুবই ভালো পণ্য। উচ্চমানের প্রযুক্তি আর বিনোদন নিয়েই ব্যস্ত থাকো অ্যাপল, বিশ্ব রাজনীতিতে তুমি ভালো না।”
ওই বার্তার সঙ্গে হ্যাশট্যাগও জুড়ে দিয়েছিলেন ইউক্রেইন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রিস্তাইকো – “ক্রিমিয়াইজইউক্রেইন”।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে রয়টার্স মন্তব্য করেছে, বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রিমিয়াকে কীভাবে ‘চিহ্নিত’ করে, তা নিয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেইন বরাবরই বেশ স্পর্শকাতর।
Comments
So empty here ... leave a comment!