ad720-90

স্মার্টফোনে ‘নাইট মোড’ ব্যবহারে যা হয়


স্মার্টফোনের নাইট মোড। ছবি: রয়টার্সঅনেকেই মনে করেন, স্মার্টফোনের নাইট মোড ব্যবহার করলে কোনো সমস্যা হয় না। তবে যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা বলছেন ভিন্ন কথা। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি নাইট মোডে ব্যবহৃত নীল আলোর ফিল্টার (ব্লু লাইট ফিল্টার) নিয়ে গবেষণা চালান। তাঁরা দেখেছেন, সাধারণ মোডের চেয়ে নীল আলোর ফিল্টার ঘুমের ক্ষতি করে বেশি। নীল আলো জ্বলে থাকলে অবস্থা বেশি শোচনীয় হয়।

গবেষকেরা বলছেন, ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সন্ধ্যার দিকে অনুজ্জ্বল, শান্ত আলো ও দিনের বেলা উজ্জ্বল ও উষ্ণ আলো ব্যবহার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্যের জন্য অধিক উপকারী। তাই যাঁরা মনে করে, নাইট মোড চোখের জন্য বেশি উপকারী, তাদের বিষয়টি আরও ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।

গবেষকেরা বলেন, যখন নাইট মোড চালু করা হয় ও হলুদ আভার উপস্থিতি দেখা যায়, তখন শরীরে এক ধরনের মিশ্র সংকেত পৌঁছায়। স্ক্রিনের আলো দিনের আলোর মতো শরীরে প্রভাব ফেলে। গবেষকেরা ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, নীল আলোতে ঘুমের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে বেশি। গবেষক টিম ব্রাউন দাবি করেছেন, ইঁদুরের ক্ষেত্রে গবেষণা করলেও তাঁরা মনে করছেন এটি মানুষের ক্ষেত্রেও সত্যি প্রমাণিত হবে। তাঁরা দাবি করেছেন, গবেষণায় নীল আলো নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ধারণা, তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নীল আলোতে চোখের ক্ষতি বেশি হয় বলে প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা। নীল আলোর ব্যবহারে ঘুমের প্যাটার্ন দুর্বল হয়ে যায়। এর পরিবর্তে অনুজ্জ্বল ও শান্ত আলো বেশি কার্যকর। দেহঘড়ি সাধারণত অনুজ্জ্বল নীল বা গোধূলির আলোতে ঘুমানোর জন্য সময় নির্ধারণ করে নেয়।

গবেষকেরা বলেন, সন্ধ্যার সময় আলোর সামনে কতটা উন্মুক্ত থাকা ঠিক হবে, তা এখনকার প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের সুবিধা করে দিয়েছে। যেমন মোবাইলে স্ক্রিনের রঙের পরিবর্তনের বিষয়টি শরীরে মিশ্র বার্তা দিতে পারে। ব্রাইটনেসের সামান্য পরিবর্তন শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে। ফোনের আলো শরীরকে রাতের সময় দিন হিসেবে বোঝাতে পারে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই নাইট মোড ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সূত্র: সিনেট





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar