ad720-90

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো মেসেজটি কি ক্ষতিকর?


ডিএমপি নিউজঃ রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে একটি সফটওয়্যার। “I AM SEND YOU A SURPRISE MESSAGE. OPEN THIS.” লেখা এই মেসেজটি খ্রিষ্টীয় বছরকে সামনে রেখে বন্ধু ও পরিচিতজনদের শুভেচ্ছা জানাতে অনেকেই মেসেঞ্জারে আদান প্রদান করছেন। তবে, অনেকে এটিকে ম্যালওয়ার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার আখ্যা দিয়ে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মেহেদী হাসান রনি তার ফেসবুকে সফটওয়্যারটির একটি স্কিন শর্ট পোস্ট করে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, সাবধান! এটি ওপেন করবেন না! এই ম্যাসেজটি একটি ম্যালওয়্যার। এটি কেউ কাউকে দিচ্ছে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি ক্ষতিকর।

মেহেদী হাসান রনির মতো আরো অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী ফেসবুকে এই সতর্কবার্তা দিয়ে এটি ওপেন করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন৷

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন এমন কয়েকজন বিশেষজ্ঞও এটিকে ম্যালওয়ার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার আখ্যায়িত করে এটি ওপেন করা থেকে বিরত থাকতে মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন এই ম্যালওয়ার মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে রাত ১১ঃ০০ টায় তিনি ডিএমপি নিউজকে বলেন, আপাতদৃষ্টিতে এটিকে ম্যালওয়ার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার বলে মনে হচ্ছে। তিনিও তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে এটিকে ক্ষতিকর সফটওয়্যার বলে মন্তব্য করেছেন এবং সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা এক কর্মকর্তা ডিএমপি নিউজকে বলেন, আপাতদৃষ্টিতে এটিকে ক্ষতিকর সফটওয়্যার মনে হলেও আসলে এটি তেমন ক্ষতিকর নয়।

তাঁর মতে, সফটওয়্যাটির নির্মাতা হয়তো আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বেশি বেশি ব্যবহার করলে তার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়বে। এতে সে লাভবান হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমে কর্মরত সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জোতির্ময় গোপের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সফটওয়্যারটি পরীক্ষা না করে হঠাৎ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

রাত ১১ঃ৩০ টায় তিনি ডিএমপি নিউজকে বলেন, সফটওয়ারটি ক্ষতিকর কিনা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তাঁর ধারনা এটি ম্যালওয়ার নাও হতে পারে। ধ্রুব যুক্তি দেন, এটি ক্ষতিকর সফটওয়্যার হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আগেই বন্ধ করে দিতো। তবে, বিপুলসংখ্যক ম্যাসেঞ্জার ব্যবহারকারী এই সফটওয়্যার ব্যবহার করার কারনে এটির নির্মাতারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

তিনি বলেন, সফটওয়্যারের এুটিপূর্ন লেখা দেখে অনেকেই এটিকে ক্ষতিকর সফটওয়্যার বলে ধারনা করছেন এবং ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

ধ্রুব ডিএমপি নিউজকে জানান বিশদভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই সফটওয়্যারটির ধরন সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar