ad720-90

এক দশকের ১০ আইকনিক স্মার্টফোন


এখন স্মার্টফোনের যুগ। বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ এখন স্মার্টফোন ছাড়া চলতে পারে না। গত এক দশক ছিল সত্যিকারের নানা রকম স্মার্টফোনের বছর। এ শিল্পে নানা উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে স্মার্টফোনকে নিত্যপ্রয়োজনীয় যন্ত্রে রূপান্তর করা গেছে।

অ্যাপল, স্যামসাং, গুগল ও চীনের বিভিন্ন ব্র্যান্ড থেকে গত এক দশকে দারুণ কিছু স্মার্টফোন বাজারে এসেছে। এর মধ্যে আইকনিক স্মার্টফোন বের করা কঠিন। গ্যাজেটস নাউয়ের এক প্রতিবেদনে গত দশকের কয়েকটি আইকনিক স্মার্টফোনের তালিকা দেওয়া হয়েছে।

আইফোন ৪
২০১০: আইফোন ৪
২০০৭ সালে বাজারে আসা প্রথম আইফোন বিশ্বকে বদলে দিয়েছিল। তবে সত্যিকারের স্মার্টফোন হিসেবে বাজার ধরতে অ্যাপলের আরও তিন বছর লেগেছিল। আইফোন ৪ বাজারে আনার পর থেকেই মানুষের স্মার্টফোনের ধারণা বদলে যায়। আধুনিক আইফোনের সমার্থক দারুণ নকশা, রেটিনা ডিসপ্লে, এ সিরিজের প্রসেসরের মতো ফিচারযুক্ত ডিভাইস আইফোন ৪–এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।

গ্যালাক্সি নোট
২০১১: গ্যালাক্সি নোট
বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং বড় স্ক্রিনের স্মার্টফোন হিসেবে ২০১১ সালে বাজারে আনে গ্যালাক্সি নোট। এর আগে অন্য নির্মাতারা ছোট মাপের স্মার্টফোনের বাইরে ভাবতে পারত না। স্যামসাং সাহস করে ৫ দশমিক ৩ ইঞ্চি মাপের নোট বাজারে এনে ট্রেন্ড তৈরি করে। এরপর থেকে নোট সিরিজের স্মার্টফোনগুলো বাজারে জনপ্রিয় হয়েছে।

আইফোন ৫
২০১২: আইফোন ৫
তালিকায় স্থান করে নেওয়া অ্যাপলের আইফোন ৫ বাজারে আসে ২০১২ সালে। বড় আকারের (৪ ইঞ্চি) ডিসপ্লের পাশাপাশি সেটটিতে এমন সব ফিচার ছিল যা আলোড়ন ফেলে দেয় ব্যবহারকারীদের মধ্যে। অ্যাপল মাত্র ১ বছর সেটটিকে উৎপাদন করলেও বিক্রি হয়ে যায় প্রায় ৭ কোটি সেট।

সনি এক্সপেরিয়া জেড
২০১৩: সনি এক্সপেরিয়া জেড
এখনকার স্মার্টফোন বাজারে সনির আধিপত্য না থাকলেও ২০১৩ সালের দিকে এক্সপেরিয়া জেড এনে সাড়া ফেলেছিল সনি। বিশ্বের প্রথম ১০৮০ পিক্সেল স্ক্রিনের ফোনটি ধুলা ও পানিরোধী ফোন হিসেবে বাজারে সাড়া ফেলে। এ ফোনে থাকা দুটি ফিচার এখন অধিকাংশ স্মার্টফোনে চলে এসেছে।

ওয়ান প্লাস ওয়ান
২০১৪: ওয়ান প্লাস ওয়ান
২০১৪ সালে স্মার্টফোনের বাজারে ওয়ান প্লাস ওয়ান নামের একটি স্মার্টফোন সাড়া ফেলে। শুরুতে ফোনটির নাম শুনে অনেকেই কৌতুক ভেবেছিলেন। তবে গত দশকের শেষের হিসাব ধরলে ওয়ান প্লাসের ওই স্মার্টফোনটি আইকনিক ফোন হিসেবে ক্রেতাদের কাছে সমাদৃত হয়। এ ফোনটি ফ্ল্যাগশিপ কিলার ফোন হিসেবে তকমা পেয়েছিল। বিশ্বের অনেক বড় ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের তালিকায় ওয়ান প্লাস এখন জায়গা করে নিয়েছে।

ব্ল্যাকবেরি প্রিভ
২০১৫: ব্ল্যাকবেরি প্রিভ
একসময়ের জনপ্রিয় স্মার্টফোন নির্মাতা ব্ল্যাকবেরির সর্বশেষ প্রচেষ্টা ছিল প্রিভ স্মার্টফোনটি। নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ফেলে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ফোন ‘ব্ল্যাকবেরি প্রিভ’ আনে ব্ল্যাকবেরি। তবে ফোনটি ব্ল্যাকবেরির ভাগ্য ফেরাতে পারেনি।

গুগল পিক্সেল
২০১৬: গুগল পিক্সেল
সেরা স্মার্টফোন ক্যামেরা নির্মাতা হিসেবে গুগলকে খেতাব এনে দেয় ২০১৬ সালে বাজারে আসা পিক্সেল ফোন। এরপর থেকে গুগলের পিক্সেল ফোনের নির্দিষ্ট ক্রেতা শ্রেণি তৈরি হয়েছে। এরপর থেকেই গুগলের পিক্সেল ফোনকে স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির বেঞ্চমার্ক হিসেবে ধরা হয়।

আইফোন এক্স
২০১৭: আইফোন এক্স
২০১৭ সালে নতুন আইফোন বাজারে এনে নতুন ট্রেন্ড শুরু করে আইফোন। আইফোনের এক দশক পূর্তিতে এক্স মডেলটির মাধ্যমে আইফোনের ধারণায় ব্যাপক আনে অ্যাপল। স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ফোনের নাম আইফোন এক্স। অ্যাপলের চমক হিসেবে আসা আইফোন টেন স্টেইনলেস স্টিল ও গ্লাসের সমন্বয়ে তৈরি।

হুয়াওয়ে পি২০ প্রো
২০১৮: হুয়াওয়ে পি২০ প্রো
২০১৮ সালে পি২০ প্রো মডেলের নতুন স্মার্টফোন উন্মুক্ত করে হুয়াওয়ে। স্মার্টফোনটিতে বিশ্বের প্রথম লাইকা লেন্সের তিন ক্যামেরা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্বে এ মডেলটির মধ্যে দিয়ে স্মার্টফোনের পেছনে তিন ক্যামেরার চল শুরু করে হুয়াওয়ে।

গ্যালাক্সি ফোল্ড
২০১৯: গ্যালাক্সি ফোল্ড
স্মার্টফোনের বাজারে প্রথম ভাঁজ করা ফোন গ্যালাক্সি ফোল্ড আনে স্যামসাং। গ্যালাক্সি ফোল্ড স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্মার্টফোন উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় এক ধাপ এগিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। সবচেয়ে বেশি দামের স্মার্টফোন হিসেবে গত বছর বাজারে আসা নতুন ঘরানার ফোনটির মতো এ বছর নতুন ভাঁজ করা ফোনের দেখা মিলতে পারে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar