ad720-90

মেশিন লার্নিং বিগ ডেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং


আমরা অনেক কষ্ট করে বই পড়ে শিখি এবং সেটা বিভিন্ন কাজে লাগাই। এমনকি মেশিনকে দিয়ে কাজ করাই। কোন বোতাম টিপলে মেশিন কী কাজ করবে সেটা আমিও জানি, মেশিনও জানে। কোন বোতামটা সেই কাজের জন্য টিপতে হবে, সেটা আমরা পড়াশোনা করে শিখে নিই। তাহলে প্রশ্ন ওঠে ‘মেশিন লার্নিং’ ব্যাপারটা কী? শিখি তো আমরা, মেশিন কী শেখে? এখানেই মজা।

এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, এআই) ব্যবহার করে মেশিনও নিজে নিজে শেখে এবং সে অনুযায়ী নিজের বুদ্ধি-বিবেচনা কাজে লাগিয়ে নির্ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য মেশিন বিশাল তথ্যভান্ডার ব্যবহার করে। এটাই ‘বিগ ডেটা’। বিগ ডেটা যে কত বড় তা আমাদের কল্পনা করাও কঠিন।

পেটা বাইট তথ্য, অর্থাৎ ১-এর পর ১৫টি শূন্য! তথ্যের পরিমাণ এত বেশি বা এর চেয়েও বেশি হলে বিগ ডেটা বলা হয়। কম্পিউটারের সুবিধা হলো সে সব সময় প্রাপ্ত তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতে সেই সব তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়।

যেমন আমার স্মার্ট ফোনে টেক্সট মেসেজ লিখছি। যেই না ‘ডি’ অক্ষরটি লিখলাম, অমনি ‘ডিয়ার’, ‘ডোন্ট’, ‘ডু’—এ রকম কয়েকটি শব্দ প্রস্তাব হিসেবে স্ক্রিনে ভেসে উঠল। তার মানে আমার ফোন লক্ষ্য করেছে, টেক্সট মেসেজে আমি সাধারণত কোন শব্দগুলো ব্যবহার করি। সে অনুযায়ী সে আমার লেখার আগেই সম্ভাব্য কয়েকটি শব্দ সামনে তুলে ধরেছে। আমিও চট করে ‘ডিয়ার’ শব্দটায় চাপ দিলাম। ব্যস। হয়ে গেল। পুরো শব্দ লেখার ঝামেলা থেকে বাঁচলাম। যেন আমার মুখে প্রিয় খাবার তুলে দিচ্ছে। সে আমার বিভিন্ন টেক্সট মেসেজে দেখেছে আমি রসগোল্লার চেয়ে সন্দেশ বেশি পছন্দ করি। সেটা সে নোট করেছে। এর পর আমি যদি বন্ধুকে টেক্সট করি ‘মিষ্টির দোকান থেকে আমার জন্য’ তখনই দেখলাম স্ক্রিনে ‘সন্দেশ’ শব্দটা ভেসে উঠেছে। অমনি আমি সেই শব্দটা ক্লিক করলাম, কষ্ট করে পুরো শব্দটা লিখতে হলো না।

শুধু স্মার্ট ফোনই না, মেশিন লার্নিং এখন বড় বড় যন্ত্রপাতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। জটিল অনেক সিদ্ধান্ত এখন মেশিনই নেয়। আমরা শুধু লক্ষ্য রাখি মেশিনটা ঠিকমতো কাজ করছে কি না।

আগামী রোববার পড়ুন: বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্য
[email protected]





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar