হুয়াওয়েকে ‘সীমিত’ অনুমোদন দিলো যুক্তরাজ্য
এমন সিদ্ধান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক খারাপ হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশের মাধ্যমে চীনা সরকার পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে পারে বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। এ কারণেই ৫জি নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়েকে বাদ দিতে যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশকে চাপ দিয়ে আসছিলো যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রেক্সিটের পর বৈদেশিক নীতিমালা নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পরীক্ষা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, সংবেদনশীল মূল নেটওয়ার্কে “উচ্চমাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে” বাদ দেওয়া হবে এবং সংবেদনশীল নয় এমন নেটওয়ার্কে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ থাকবে ৩৫ শতাংশ–খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।
যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি হুয়াওয়ের নাম উল্লেখ করা না হলেও দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, জটিল নেটওয়ার্ক এবং পরমাণু ও সেনা ঘাঁটির মতো সংবেদনশীল এলাকাগুলো থেকে “উচ্চমাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে” বাদ দেওয়া হবে।
যোগাযোগ সচিব নিকি মরগান বলেন, “এটি যুক্তরাজ্যের জন্য যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সমাধান এবং আমরা এখন যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তার ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
যুক্তরাজ্যের এমন সিদ্ধান্তে খুশি হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টর জ্যাং বলেন, “যুক্তরাজ্যে সরকারের সিদ্ধান্তে হুয়াওয়ে পুনরায় নিশ্চিত হয়েছে যে, আমরা ৫জি ভূমিকা ঠিক পথে রাখতে গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবো।”
Comments
So empty here ... leave a comment!