ad720-90

ফেসবুক আসলে কী?


মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: রয়টার্সফেসবুক কি কোনো গণমাধ্যম, নাকি কোনো টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান? এ প্রশ্নের উত্তরটি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের মুখ থেকে শোনা গেলে ভালো। মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ‘আমাদের টেলিকম ও সংবাদপত্রের মাঝামাঝি কোনো বিষয় ধরে নিন।’ সম্প্রতি জার্মানিতে মিউনিখ সিকিউরিটি সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে জাকারবার্গ ফেসবুককে এভাবেই বর্ণনা করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী বলেন, অনলাইন কনটেন্ট একটি পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যা টেলিকম ও মিডিয়াশিল্পে ব্যবহৃত নিয়মনীতির মাঝামাঝি পড়ে। গতকাল শনিবার বৈশ্বিক প্রযুক্তি নেতৃবৃন্দের সামনে জাকারবার্গ তাঁর এ বক্তব্য দেন।

বিশ্বজুড়ে সমালোচনা মুখে থাকা ফেসবুকের পক্ষে জাকারবার্গ বলেন, ‘নির্বাচনের সময় অনলাইনে হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় ফেসবুক কাজ করেছে। তবে আমি মনে করি, ক্ষতিকর কনটেন্টের বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে কোন ফ্রেমওয়ার্ক আপনি ব্যবহার করবেন। এখন পর্যন্ত দুই ধরনের ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে। একটি হচ্ছে সংবাদপত্র ও বর্তমান গণমাধ্যম এবং আরেকটি হচ্ছে টেলিকম মডেল পদ্ধতি। টেলকোর ক্ষেত্রে যা হয়, তা হলো এর মধ্য দিয়ে তথ্য গেলেও তার জন্য টেলকোকে আপনি দোষারোপ করতে পারেন না। তাই ফেসবুককে মনে করতে হবে সংবাদপত্র ও টেলকোর মাঝামাঝি কোনো কিছু।’

ফেসবুকের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে টুইটার ও অ্যালফাবেটের গুগল ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে বিশ্বজুড়ে চাপের মুখে রয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ওপর চাপ বাড়ছে।

জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুকের নিরাপত্তা ও কনটেন্ট পর্যালোচনার জন্য বর্তমানে ৩৫ হাজার কর্মী রয়েছে। এই দলগুলোর পাশাপাশি ফেসবুকের স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি প্রতিদিন ১০ লাখের বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি প্রতিহত করছে। সাইনআপ করার সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী আরও বলেছেন, ‘আমাদের বাজেট এখন আগের চেয়ে বেশি। ২০১২ সালে ফেসবুকের মোট আয়ের সমান এখন নিরাপত্তা খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। এর ফলাফল নিয়ে আমি গর্বিত, তবে আমাদের আরও সজাগ থাকতে হবে।’





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar