ad720-90

বদলে যেতে পারে কাজের ধারা


করোনাভাইরাসের কারনে বাড়ি বসে কাজ করতে হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। ছবি: রয়টার্সকরোনাভাইরাসের প্রভাবে সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে কর্মীদের। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে কর্মীরাও চাইছেন না ঘর থেকে বের হতে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে হয়তো কাজের ধরনে স্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে। পাকাপোক্তভাবেই বদলে যেতে পারে কাজের জায়গা।

স্ল্যাক ও জুমের মতো নতুন ব্যবসায় উদ্যোগ বা স্টার্টআপের পাশাপাশি গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও বিনা মূল্যে দূর থেকে কাজ করার সফটওয়্যার দিচ্ছে। তাদের আশা, জরুরি অবস্থা উঠে গেলেও ব্যবহারকারীরা হয়তো এই সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করে যাবেন। এদিকে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ব্যান্ডউইথের সীমা বাড়াতে চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে গ্রাহকেরা দূর থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ সারতে পারেন।

যে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের মনে নতুন প্রশ্ন—কাজটা যখন বাড়ি থেকেই হয়, কর্মীদের অফিসে আসার দরকার কী?

করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাড়ি থেকে কাজ করার এই নতুন ধারা শুরু করেছে বড় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। কাজে সমন্বয়ের বিদ্যমান সফটওয়্যারগুলো উন্নয়ন করে তারা দেখল, বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের বেশির ভাগ দূর থেকে দিব্যি সারা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস প্রথম গুরুতর আঘাত হানে সিয়াটলে। সেখানে আমাজন, লিংকডইন, মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে কর্মীদের অফিসে আসতে নিষেধ করা শুরু করে। মার্চের শুরুতে টুইটার বিশ্বব্যাপী সব কর্মীর একই ধরনের নির্দেশনা দেয়। গত বুধবার তা বাধ্যতামূলক করা হয়। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে বাড়িতে কর্মপরিবেশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার কথা বলেন টুইটারের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জেনিফার ক্রিস্টি। তিনি বলেন, ‘সার্বিকভাবে বাড়ি থেকে কাজ করা দৈনন্দিন কাজে কোনো প্রভাব ফেলে না। এর অর্থ আপনি শুধু ভিন্ন এক পরিবেশ থেকে কাজ করছেন।’

প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের বিনিয়োগে ওই প্রশ্নই আসছে ঘুরেফিরে। দুর্যোগের সময় যদি এ ধরনের সফটওয়্যার কাজে দিতে পারে, তবে দুর্যোগ মিটে গেলে একইভাবে কাজ করতে সমস্যা কোথায়? সব প্রতিষ্ঠান হয়তো পারবে না, তবে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বেলায় বড় সমস্যা আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে না। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar