ad720-90

ভুয়া মেইলে সতর্ক থাকুন


ফিশিং মেইলে প্রতারণার চেষ্টা চালাচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। ছবি: রয়টার্সকরোনাভাইরাসের আতঙ্ক কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এ সময় ভুয়া মেইলে আপনার ইনবক্স ভরে উঠতে পারে। কোনোটিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার কথা বলতে পারে, কোনোটিতে ভয় দেখাতে পারে, আবার কোনোটিতে প্রলোভন দেখিয়ে লিংকে ক্লিক করতে বলতে পারে। এখন করোনাভাইরাস–সম্পর্কিত লিংকযুক্ত মেইলে ক্লিক করা মানেই বিপদ।

টেক জায়ান্ট গুগল বলছে, শুধু গত সপ্তাহে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি ম্যালওয়্যার ও ফিশিং মেইল দেখেছে তারা। এসব মেইল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯–সংক্রান্ত স্ক্যাম মেইল। গুগল জানিয়েছে, তাদের দৈনিক ২৪ কোটি স্প্যাম মেসেজের সঙ্গে করোনাভাইরাস নিয়ে প্রচুর স্ক্যাম মেসেজ যুক্ত হয়েছে।

গুগলের এক অফিশিয়াল পোস্টে বলা হয়েছে, মেইল ব্যবহারকারীদের প্রলোভন দেখিয়ে ফিশিং আক্রমণ ও স্ক্যাম মেইল ছড়ানো হচ্ছে। মেইল ব্যবহারকারীকে ভয় দেখানো বা আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে দ্রুত সাড়া দিতে বলছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। অনেক মেইলের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতো বিশ্বাসযোগ্য সংস্থার ছদ্মবেশ নেওয়া হচ্ছে। এসব মেইলে দান করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিছু কিছু মেইল ম্যালওয়্যার ছড়ানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব মেইলের কোনো লিংকে ক্লিক করা হলে ম্যালওয়্যারযুক্ত ফাইল ডাউনলোড হয়ে ব্যাকডোর ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। যাতে দূরে বসেই ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা।

গুগল জানিয়েছে, অধিকাংশ ম্যালওয়্যার ও ফিশিং হুমকিগুলো একেবারে নতুন নয়, তবে করোনাভাইরাসের ভীতি ও বিভ্রান্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা।

এ ধরনের স্ক্যাম থেকে রক্ষা পেতে গুগলের পরামর্শগুলো হলো—

১. ই-মেইলে আসা কোনো লিংকে নিশ্চিত না হয়ে ক্লিক করবেন না। যে ধরনের মেইল সচরাচর আপনি প্রত্যাশা করেন না, এমন মেইলে কোনো প্রলোভন বা হুমকি দেওয়া হলে সেসব মেইল খুলেও দেখবেন না।

২.কোনো মেইল স্ক্যাম বা ফিশিং মেইল হিসেবে সন্দেহ হলে তা রিপোর্ট করুন। জিমেইলে সন্দেহজনক মেইলটি নির্বাচন করে রিপোর্ট স্প্যামে পাঠিয়ে দিন।

৩. কোনো মেইলের প্রেরক সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। মেইলে পাঠানো কোনো লিংক বা ইউআরএলের সত্যতা পরীক্ষা করুন।

৪. গুগলের অ্যাডভান্সড প্রোটেকশন প্রোগ্রাম চালু করুন।

সম্প্রতি ফেসবুক, গুগল ও অন্য বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো অ্যালগরিদম ব্যবহার শুরু করেছে। ক্ষতিকর করোনাভাইরাস তত্ত্ব, ক্ষতিকর বিজ্ঞাপন ও অপরীক্ষিত ওষুধ বিষয়ে সতর্ক করার ব্যবস্থা চালু করেছে তারা। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar