ad720-90

মহাকাশে প্রথম সামরিক উপগ্রহ ‘নুর-১’ স্থাপন করল ইরান


মহাকাশে প্রথম সামরিক উপগ্রহ স্থাপন করল ইরান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি মহাকাশে এই সামরিক উপগ্রহ ‘নুর-১’ উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তির নতুন একটি অধ্যায় রচিত হল। ‘নুর-১’কে কক্ষপথে স্থাপনের জন্য এবারই প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয় একটি রকেট তিন-পর্যায়ের বাহক রকেট কাসেদ বা বার্তাবাহক।

সামরিক উপগ্রহ হিসেবে ‘নুর-১’এর অবস্থান প্রথম হলেও এটি নিয়ে ইরান এ পর্যন্ত পাঁচটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। ইরান এ পর্যন্ত যেসব উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে তার সবগুলোর নকশা থেকে শুরু করে নির্মাণ পর্যন্ত সকল কাজ দেশীয় নিজস্ব প্রযুক্তিতে সম্পন্ন করেছে।   

অবশ্য, ‘নুর-১’এ বৈশিষ্ট্য এবং কর্মতৎপরতা নিয়ে অল্প তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। ইরানের প্রথম সামরিক উপগ্রহকে বহুমুখী হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা খাতে এর বিশেষ ব্যবহার হবে। এতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে আইআরজিসি প্রযুক্তিগত পরিপক্কতা অর্জন করেছে। এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারে। পারে মহাকাশ থেকে  গোয়েন্দা লড়াই এবং সামরিক নজরদারির অব্যাহত তৎপরতা চালাতে। ইরানের আকাশকে সদা মুক্ত ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং উপাত্তও যোগাড় করতে পারে আইআরজিসি।

‘নুর-১’ মহাকাশে পাঠানোর পরই আইআরজিসি কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছিলেন, আজ ইরান আকাশ থেকে পৃথিবী দেখছে আর এটি প্রমাণ করছে ইরান একটি বিশ্ব শক্তি হওয়ার পথ পরিক্রমা করছে। 

উপগ্রহের তৎপরতা তুলে ধরা না হলেও উপগ্রহ উৎক্ষেপণের তৎপরতার মধ্য দিয়ে ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের আরও বিশাল এক সাফল্যের দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এবারে ইরানের সামরিক আধিপত্য বিস্তারের নতুন এক ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে মহাকাশ।

‘নুর-১’কে কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করেছিলে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বাহক রকেট কাসেদ বা বার্তাবাহক। তিন-পর্যায়ের অত্যাধুনিক এ রকেট ইরানকে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে পৌঁছানের পথে প্রযুক্তি চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সহায়তা করেছে।

তিন-পর্যায়ের রকেটকে তৃতীয় পর্যায়ে শক্তি যোগায় কঠিন জ্বালানি এবং তা পুড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় পৌঁছে  যায় রকেট।  বিশেষজ্ঞরা মনে করেন পশ্চিমের চাপিয়ে দেওয়া কঠিন নিষেধাজ্ঞার মুখেও এ জটিল প্রযুক্তি অর্জনের মধ্য দিয়ে ইরানি প্রকৌশলীরা তাদের চমকপ্রদ দক্ষতার পরিচয়ই তুলে ধরেছেন। তাদের এ পেশাগত দক্ষতা পশ্চিমা বিশ্বকে হতচকিত করে তুলেছে।

আরবি ওয়েবসাইট রায় আল-ইয়োম লিখেছে, ‘নুর-১’এর উৎক্ষেপণ প্রমাণ করল যে বাস্তবে শোচনীয়ভাবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে পরাজিত করেছে ইরান। এটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে আরও দেখিয়ে দিল যে,   আইআরজিসিকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে তুলে ধরে এবং কুদস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার জেনারেল  কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা সত্ত্বেও এ বাহিনীর চোখ ধাঁধানো অগ্রগতি রুখতে ব্যর্থ হয়েছে আমেরিকা। সূত্র: পার্সটুডে





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar