ad720-90

ট্রেসিং অ্যাপ আনলো অস্ট্রেলিয়া, সঙ্গে এলো বিতর্ক


জনস্বাস্থ্য প্রক্রিয়ায় চাপ ফেলার আগেই করোনাভাইরাস মহামারী অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তবে, আগামীতে ফের বিপদের শঙ্কায় রয়েছেন দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ। ট্রেসিং অ্যাপটির উন্মোচন অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেছেন, “আমরা জিততে চলেছি, এখনও কিন্তু জিতে যাইনি”। — খবর রয়টার্সের।

সিঙ্গাপুরের ট্রেসটুগেদার সফটওয়্যারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে অ্যাপটি। দু’জন ব্যক্তি কাছাকাছি চলে এলে ব্লুটুথ তরঙ্গের মাধ্যমে সে বিষয়টি বুঝতে পারবে এই অ্যাপ। তবে, ওই অ্যাপটির মাধ্যমে গোপনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে সমালোচনায় মুখর হয়েছে দেশটির নাগরিক অধিকার গ্রুপগুলো।

অস্ট্রেলিয়ান সরকার চাইছে, প্রচেষ্টার সাফল্য নিশ্চিত করতে জনগণের অন্তত ৪০ শতাংশ যাতে অ্যাপটি ব্যবহার করেন। অ্যাপে নিশ্চয়তাও রয়েছে এটি “অবস্থান ট্র্যাক করবে না এবং নিরাপদ”।

অ্যাপের সংরক্ষিত ডেটার মাধ্যমে সম্ভাব্য সংক্রমিতদের খুঁজে বের করতে পারবেন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। “এটি আবারও আমাদের স্বাভাবিক জীবনে এবং অস্ট্রেলিয়ান জীবনধারায় ফিরতে সহায়তা করবে। ওই ডেটায় কারো কোনো প্রবেশাধিকার নেই, এমনকি আপনারও নেই।” – বলেছেন হান্ট।

“শুধু একজন রাষ্ট্রীয় জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ওই ডেটায় প্রবেশাধিকার দেওয়া হতে পারে।”

বিষয়টি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে এমন একটি আইন নির্দেশিকার প্রস্তাব মে মাসে পার্লামেন্টে রাখা হবে – অ্যাপের ওয়েবসাইটে লিখে রেখেছে অস্ট্রেলিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েলের মতো হাতেগোণা কয়েকটি দেশ উচ্চ-প্রযুক্তির কনট্যাক্ট ট্রেসিং করছে। এ ধরনের কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে ফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের অবস্থান জানা হচ্ছে। যদিও নজরদারিভিত্তিক এমন পন্থা বিশ্বের অনেক দেশেই অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত।

মঙ্গলবার থেকে নিজেদের লকডাউন ধীরে ধীরে উঠিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করবে নিউজিল্যান্ড। ট্রেসিং অ্যাপ  আসছে ওই দেশটিতেও। এ মাসের শুরুতেই ট্রেসিং অ্যাপে গোপনতা প্রশ্নে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’র্ডুন বলেছেন, “আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে এমন কোনো ট্র্যাকিং অ্যাপ নেই যার মধ্যে সহজ এবং জাদুকরী কোনো সমাধান রয়েছে”।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar