অস্ট্রেলিয়ায় লাখো স্মার্টফোনে ট্রেসিং অ্যাপ ‘কোভিডসেইফ’
কোভিডসেইফ স্মার্টফোন অ্যাপটি ব্লুটুথ তরঙ্গের সাহায্যে কাজ করে থাকে। অন্য মানুষের বেশি কাছে গেলে বা ১.৫ মিটারের মধ্যে চলে এলে অ্যাপটি ব্লটুথ তরঙ্গের মাধ্যমে তা বুঝতে পারবে এবং এই যোগাযোগ তথ্য এনক্রিপ্ট করে রাখবে। করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে এমন মানুষের কাছাকাছি ১৫ মিনিটের বেশি সময় পার করলে ব্যবহারকারীকে নোটিফিকেশন পাঠাবে অ্যাপটি। — খবর বিবিসি’র।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির দেওয়া তথ্য অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৬৯৪ এবং এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮০ জন।
রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় অ্যাপটি ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত করে অস্ট্রেলিয়া। পরে রাতে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রী টুইটে অ্যাপটির সফলতার ব্যাপারে জানান। “সাড়ে দশটা নাগাদ, দশ লাখ অস্ট্রেলিয়ান অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন এবং কোভিডসেইফ অ্যাপের জন্য নিবন্ধন করেছেন। আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদেরকে, পরিবারকে এবং একে অন্যকে সুরক্ষিত রাখুন এবং সর্বোপরি আমাদের নার্স ও ডাক্তারদের সুরক্ষিত রাখুন”। – টুইটে লিখেছেন হান্ট।
এদিকে, আসার পরপরই গোপনতা প্রশ্নে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে অ্যাপটি। অস্ট্রেলিয়ান সরকার অবশ্য বলছে, অ্যাপটির ব্যবহার শুরু হওয়ার পর গোপনতা সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন করা হবে। কিন্তু নিয়মিত পার্লামেন্ট অধিবেশন না বসার কারণে সে কাজটি এখনও করতে পারেনি দেশটির সরকার।
অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের বয়স সীমা, মোবাইল নম্বর, পোস্ট কোড এবং নাম জানতে চায়। আসল নাম গোপন রেখে, ছদ্মনাম দিলেও সমস্যা নেই বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি। অস্ট্রেলিয়ান সরকার জানিয়েছে ২১ দিন পর পর অ্যাপের সংগৃহীত সব ডেটা মুছে ফেলা হবে। ব্যবহারকারীদের কেউ অ্যাপটি মুছে দিলেও ডেটা মুছে দেওয়া হবে।
Comments
So empty here ... leave a comment!