ad720-90

মহামারীতেও প্রত্যাশা ছাড়ানো আয় অ্যালফাবেটের


গত কয়েক বছরে রেকর্ড আয়ের হিসাব দিয়েছে গুগল। অর্থনীতির সঙ্গে ইন্টারনেটের ব্যবহার দ্রুত বাড়তে থাকায় এমনটা সম্ভব হয়েছে।

এবার করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই দুই নিয়ামক। ইন্টারনেট সেবাগুলোর ব্যবহার বাড়লেও খরচ কমিয়েছেন গ্রাহক।

মঙ্গলবার বিশ্লেষকদের উদ্দ্যেশ্যে অ্যালফাবেটের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা রুথ পোরাট বলেন, “গ্রাহক আগের চেয়ে বেশি সার্চ করছে, তবে বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে খোঁজা হচ্ছে কম। আর খরচ কমিয়েছে বিজ্ঞাপনদাতারাও।”– খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

“এখন পর্যন্ত আমাদের ধারণা বিজ্ঞাপনী ব্যবসার জন্য দ্বিতীয় প্রান্তিক কঠিন হবে।” বলেন পোরাট।

সার্বিকভাবে বছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যালফাবেটের আয় হয়েছে চার হাজার ১২০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। রেফিনিটিভের তথ্য মতে, এই প্রান্তিকে আর্থিক বিশ্লেষকরা আয়ের যে ধারণা দিয়েছিলেন তার গড় করলে দাঁড়ায় চার হাজার ২৯ কোটি ডলার।

চলতি বছর ভিডিও চ্যাটিং টুল ডুয়ো এবং ইউটিউবসহ গুগলের অন্যান্য সেবা আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ সেবার ক্ষেত্রেই কোনো মূল্য নেয় না সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। এই সেবাগুলো থেকে আয় আসে বিজ্ঞাপনী টুল থেকে।

গত বছর অ্যালফাবেটের আয়ের ৮৩ শতাংশ এসেছে গুগলের বিজ্ঞাপনী ব্যবসা থেকে।

চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে বিজ্ঞাপনী ব্যবসা থেকে গুগলের আয় হয়েছে তিন হাজার ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।

অ্যাটলানটিক ইকুইটিস-এর বিশ্লেষক জেমস কর্ডওয়েল বলেন, “ইউটিউব অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ফলাফল দিয়েছে, লকডাউনের কারণে বিজ্ঞাপনী বাজেট কমলেও আয় বেড়েছে এই সেবার।”

অন্যদিকে গত বছর অ্যালফাবেটের আয়ের সাড়ে পাঁচ শতাংশ এসেছে ক্লাউড ব্যবসা থেকে।

এবারে মহামারীতে গ্রাহককে সহায়তা করতে ক্লাউড সেবায় অনেক বিনামূল্যের অফার দিয়েছে গুগল। তারপরও এই খাত থেকে দুই হাজার আটশ’ কোটি ডলার আয় হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির, যা এক বছর আগের তুলনায় ৫২ শতাংশ বেশি।

আয় বাড়ার পাশাপাশি এক বছর আগের চেয়ে অ্যালফাবেটের মোট খরচ ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩২০ কোটি ডলার।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar