ad720-90

চীনে করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুত, ছাড়পত্রের অপেক্ষায়


নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ও গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা উঠেপড়ে লেগেছেন করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের। অন্তত ৮০টি গবেষণাগারে চলছে দিনরাত ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কর্মযজ্ঞ। এ সময় চীনের একটি সংস্থা নিজেদের সফলতা দাবি করল।

সংস্থাটি এর আগে, সোয়াইন ফ্লু’র ভ্যাকসিন গণহারে উৎপাদন করেছিল। সে সময় দুঃসময়ে তারা তাদের সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছে। তাই অনেকেরই আশা, চীনের এই সংস্থাটি করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম হবে।

সংস্থাটির নাম সিনোভাক। তারা দাবি করল, করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেছে। এখন ছাড়পত্রের অপেক্ষা করছেন তারা। ছাড়পত্র পেয়ে গেলেই গণহারে ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করা হবে।

একই সঙ্গে সিনোভাক জোর দিয়ে এই দাবিও করেছে, তাদের গবেষণাগারে প্রস্তুত ভ্যাকসিনই করোনা ঠেকাতে কার্যকর হবে।

আর এক মুহূর্তে দেরি করতে চায় না সংস্থাটি। তাদের দাবি, বানরের শরীরে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে এই ভ্যাকসিনের। গণহারে উৎপাদন শুরুর আগে অবশ্য তাদের আরও কয়েকটি ধাপ পেরোতে হবে।

অবশ্য আরও সুখবর আছে। ইতোমধ্যে চীনও সিনোভাকসহ সেদেশের আরও চারটি সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। বানরের পর মানব শরীরেও পরীক্ষার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিনোভ্যাক জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে বছরে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে তারা প্রস্তুত। একটি নিষ্ক্রিয় প্যাথোজেনের ওপর ভিত্তি করে, এই ভ্যাকসিনের হাজারো শট সাদা-কমলা রঙের একটি প্যাকেজে সজ্জিত করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে করোনাভ্যাক। সংস্থার দাবি, ভ্যাকসিনটি তৈরির কাজ প্রায় শেষ।

বৃহৎ পরিসরে ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করতে তারা সক্ষম কি না, ছাড়পত্র পাওয়ার আগে সে প্রমাণও দিতে হবে সংস্থাটিকে। জানা গেছে, ইতোমধ্যে চীনের পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশে ১৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোর প্রথম দু’টি পর্যায়ের পরে, জুনের শেষে ভ্যাকসিনটির আশাব্যাঞ্জক ফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী সংস্থাটি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar